প্রাণ বাঁচাল গণেশের মূর্তি! সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যাওয়া কিশোর ৩৬ ঘন্টা পর উদ্ধার জীবিত অবস্থায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অবাক করা ঘটনা সামনে এসেছে। যেটি জানার পর রীতিমতো চমকে যাবেন সকলেই। এমনিতেই একটি বাগধারা প্রচলিত রয়েছে যে, “রাখে হরি, মারে কে?” এবার যেন এই বাগধারাই ফের সত্যি প্রমাণিত হল। মূলত, গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ১৪ বছরের এক কিশোর অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৩৬ ঘন্টা ধরে ওই কিশোরটি ভগবান গণেশের মূর্তির ফ্রেম ধরে ভাসতে থাকে। অবশেষে জেলেরা তাকে দেখতে পেয়ে তার জীবন রক্ষা করেন। ওই কিশোরের নাম হল লখন। সে তার দিদা সবিতাবেন, ভাই করণ এবং বোন অঞ্জলির সাথে গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে সুরাটের ডুমাস বিচে বেড়াতে গিয়েছিল। সেইসময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

The frame of Lord Ganesha saved the life of the teenager

মূলত, তারা প্রথমে আম্বাজি মন্দির দর্শন করে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসে। সেখানেই স্নান করতে গিয়ে আচমকাই দুই ভাই সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের সম্মুখীন হয়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন করণকে কোনোভাবে ঢেউ থেকে বাঁচালেও ঢেউয়ের কবলে পড়ে হারিয়ে যায় লখন। এরপর থেকে উদ্ধারকারী দল সহ ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি ও জেলেরা লখনকে খুঁজছিলেন। শনিবার গভীর রাতে কয়েকজন জেলে তাকে লক্ষ্য করেন।

আরও পড়ুন: বাবা বিক্রি করতেন তীর-ধনুক! রাজ্যের প্রথম আদিবাসী IAS অফিসার হয়ে ইতিহাস তৈরি মেয়ের

প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন ওই কিশোরের মৃতদেহ ভাসছে, কিন্তু জেলেরা সেখানে পৌঁছে দেখেন যে সে ভগবান গণেশের মূর্তির ফ্রেম ধরে রয়েছে। উদ্ধারের সময়ে লখনের অবস্থা সঙ্কটজনক থাকলেও জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিম তার কাছে পৌঁছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক শালিন পারিখ জানান, তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। তবে তার বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।

আরও পড়ুন: ভর সন্ধ্যেবেলায় কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ! আতঙ্কে বাড়ির বাইরে মানুষ, ২ মাসের ব্যবধানেই ফের ভূমিকম্প রাজ্যে

উল্লেখ্য যে, শুক্রবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালালাও লখনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরাও তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ জোয়ারের সময় সমুদ্রে উঠা ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের মধ্যে যেকোনো ব্যক্তির পক্ষে বেঁচে থাকা রীতিমতো কঠিন ছিল। এই প্রসঙ্গে লখনের বাবা বলেন, “আমরা আমাদের ছেলেকে মৃত ভেবে মরদেহ সংগ্রহ করতে এসেছিলাম, কিন্তু তার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর