বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেও ভারতে (India) বেড়েই চলেছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৫২১। এর মধ্যে আবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আগামী দিনে ভারতের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই নির্ভর করেছে বলে জানালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIMS) -এর ডিরেক্টর ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
সমগ্র বিশ্বে এই মুহুর্তে ব্যাপকহারে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে এখনও অবধি সংক্রমণের হার অনেক কম। বিগত কয়েকদিনে এই সংক্রমণের হার আরও কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে ভারতে আগামীতে কি অবস্থায় থাকবে এই মারণ ভাইরাস, সেই বিষয়ে জানালেন AIMS -এর ডিরেক্টর ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, “করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ড্রাগ ব্যবহার করা যেতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে একাধিক ট্রায়াল চলছে। তার পাশাপাশি আমরা প্লাজমা থেরাপি করার কথাও ভাবছি। প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে একজন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলে তার শরীরের অ্যান্টিবডি করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হয়। তখন ওই সুস্থ ব্যক্তির শরীরের প্লাজমা নিয়ে অন্য আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়”।
তিনি আরও জানান, ‘ভারতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমই আছে। একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আছে। এই সীমা অতিক্রম না করলে, ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উঠবে না। তবে কিছু জায়গায় হটস্পট থাকতে পারে। গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমণের হার বেশ কম। তবে সংক্রমণের হার কমলেই, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তবে আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে’।
ভারতে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে জারী করা হয়েছে দ্বিতীয় দফা লকডাউন। এই সময় বেশ কিছু জায়গা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই সব এলাকায় সরকারী তরফ থেকে বিনা ডেলিভারি চার্জে নাগরিকদের জরুরী পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।