বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) দিয়ে পাশ করেছিল ছাত্রী। কিন্তু, তারপরেই ক্রমশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে। এমনকি, একদিন আচমকাই কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তারপর আর বাড়ির ঠিকানা মনে পড়েনি তার। তবে, এরপর যে ঘটনাটি ঘটেছে তা রীতিমতো অবাক করবে সবাইকে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত ১৫ জানুয়ারি হঠাৎই “উধাও” হয়ে যায় বর্ধমানের রানীগঞ্জের বাসিন্দা সাথী চক্রবর্তী। তার বাবা মনোজ চক্রবর্তী একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন। পাশাপাশি, সাথীর পরিবারে রয়েছে তাই মা, বোন ও ভাই। তবে, সাথীই বড় মেয়ে। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়তে থাকে সাথীর পরিবারের সদস্যদের। শুরু হয় হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজির পালাও।
এমনকি, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে পুলিশ সবকিছুর দ্বারস্থ হয়েও সাথীর কোনো খোঁজ পায়নি তার পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের রাস্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বছর সতেরোর সাথীকে দেখতে পায় পুলিশ। তারপরই সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পাঠায় খড়গ্রামের একটি হোমে।
সেই হোমেই কাউন্সেলিং ও মানসিক চিকিৎসার পর নিজের নাম ও ঠিকানা সবাইকে জানায় ওই কিশোরী। তারপরেই গত শুক্রবার সাথীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিঠু মন্ডল জানিয়েছেন, ওই কিশোরী যখন হোমে আসে তখন সে তার নিজের নাম-ঠিকানা কিছুই জানাতে পারেনি। তারপরে তার কাউন্সেলিং ও সঠিক চিকিৎসা করার পর সে তার নাম এবং ঠিকানা সব জানায়। ওকে সুস্থ ভাবে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে সত্যিই খুব খুশি।
এদিকে, প্রায় দু’মাস পরে মেয়েকে সুস্থভাবে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি সাথীর পরিবারের সদস্যরাও। সাথীর বাবা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। একটা সময়ে মেয়েকে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। সম্প্রতি ওই হোম আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে সাথীর সন্ধান দেয়। হোমটিতে আমার মেয়ে খুব ভালোভাবে ছিল। হোম কর্তৃপক্ষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।”