বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! গতকাল প্রয়াত হয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজ চলে গেলেন ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। আজ, বুধবার মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান সুরকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি দা। সোমবারই ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবারই আচমকা তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই চিকিৎসক ডেকেছিলেন। দ্রুত তাঁকে ফের হাসপাতালে আনা হয়।
জানা যাচ্ছে, একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। চিকিৎসক জানান, ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’র জেরে মৃত্যু হয়েছে সুরকারের। এ ঘটনা একটা বড় ধাক্কা দেশ তথা বাংলার সঙ্গীত মহলে। পরপর দুদিনে সঙ্গীত জগতের দুই নক্ষত্র বিদায় নিলেন। এ যেন ঘোর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
গত বছরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। বিষয়টা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতেই মুখ খোলেন সুরকার। নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, এ খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই হতাশ এটা দেখে যে কিছু সংবাদ মাধ্যম আমার স্বাস্থ্য নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আমার অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীদের আশীর্বাদে আমি ভাল আছি’।
আসলে গত এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হন সুরকার। তারপরেই শোনা গিয়েছিল, কথা বলা বন্ধ হয়েছে সুরকারের। ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন সুরকার। তবে শরীর এখনো খুবই দুর্বল। আসলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বাপ্পি লাহিড়ীর। তার জেরেই সুস্থ হতে এত সময় লাগছে তাঁর।
তবে স্বর হারানোর গুঞ্জন উড়িয়ে পুজোর গানও মুক্তি পেয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। সঙ্গীত জগতে গোল্ডেন ম্যানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁর সুরে প্রথম বার গান গেয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাপ্পি লাহিড়ী্য মৃত্যু সংবাদ এখনো যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না কেউই।