ছোটবেলার প্রাপ্য নোবেল ফেরত দিক সরকার, দাবীতে হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়লেন মহিলা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমার ছোটবেলার প্রাপ্য নোবেল (Nobel Prize) এখন আমাকে ফেরত দেওয়া হোক, এই দাবীতে হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) মাথায় চড়ে বসলেন এক মহিলা। রবিবার বিকালে যখন দাবদাহের হাত থেকে রেহাই দিতে ঝেপে আসা বর্ষা উপভোগ করছে শহরবাসী, ঠিক তখনই প্রায় ৫ টা নাগাদ এক মহিলাকে দেখা গেল হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠতে।

লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় যান চলাচল হচ্ছে হাওয়া ব্রিজের উপর। রয়েছে পুলিশ মোতায়েনও। কিন্তু সবার চোখ এড়িয়ে তড়তড় করে ব্রিজের ৪ নম্বর পিলারে উঠে পড়েন তিনি। আচমকাই এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে পুলিশকে ব্রিজের উপর থাকা পুলিশকে ডেকে দেখায়।

mohila 222 1

মহিলার বিবরণ
পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে কালঘাম ছুটিয়ে ব্রিজের উপ্র থেকে নিচে নামায় ওই মহিলাকে। তিনি জানান, তার নাম ডলি বসু। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা বলে দাবী করলেও, কোন স্কুলের নাম তিনি বলতে পারেননি। পরনে তার ছিল নীল কুর্তি, লাল লেগিংস ও লাল ওড়না। এবং একটি গোলাপি রঙের ব্যাগ ছিল, যেটিকে ওড়না দিয়ে শক্ত করে বেঁধেও রেখেছেন।

মহিলার অভিযোগ
ওই মহিলা অভিযোগ করেছে, ছোটবেলায় তিনি স্যারোগেসি নিয়ে রিসার্চ করেন। নোবেল কমিটির দ্বারা চূড়ান্ত হয়েছিল তার সেই রিসার্চ পেপার। কিন্তু তার বয়স অনেক কম থাকায় তাঁকে সেই মুহুর্তে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, এখন সরকারের কাছে থাকুক, বয়স হলে তাঁকে দিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে আর এক নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন সব কিছু জানেন। কিন্তু এখন তিনি তা ফেরত চাইলে, কেউ কোন পাত্তাই দিচ্ছে না তাঁকে।

প্রাপ্য নোবেল ফেরত দিচ্ছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
তিনি আরও জানান, তার বেশ কয়েকটি বাচ্চা রয়েছে। যাদের রামকৃষ্ণ মিশনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও রয়েছে তার দুটি বাচ্চা। এমনকি তিনি নোবেলের অর্থ দিয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের মতো সংবাদ সংস্থাও কিনে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে তার প্রাপ্য নোবেল ফেরত দিচ্ছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই জন্য তিনি বহুবার রাজ্যপালের কাছেও গেছেন। রাজভবনে ধর্না দিলেও, তার প্রাপ্য নোবেল এখন তাকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।

https://www.facebook.com/100008278511644/videos/pcb.2671641183121806/2671636729788918/

সম্ভবত মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা
এই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে আবার মহিলাকে নানান ব্যঙ্গ বিদ্রূপও করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে তার কথা বার্তা শুনে, পুলিশ জানিয়েছে মহিলা সম্ভবত কোন বড় আঘাত পেয়ে মাওসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই মহিলাকে নর্থ পোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর