“এটা চাকরিজীবীদের অধিকার”, আদালতের নির্দেশে মুখে হাসি ফুটল সরকারি কর্মীদের

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। মূলত, এবার আদালতের একটি রায়ের মাধ্যমে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতিমধ্যেই একটি পর্যবেক্ষণে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, লিভ এনক্যাশমেন্ট (Leave Encashment) হল চাকরিজীবীদের অধিকার।

এমতাবস্থায়, সরকারি মালিকানাধীন বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দুই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে তাঁদের সঞ্চিত “প্রিভিলেজ লিভ” এনক্যাশ করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হল হাইকোর্টের তরফে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় দু’জন কর্মী তাঁদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভ এনক্যাশ করতে পারেননি। অর্থাৎ, সোজা কথায় তাঁরা নিয়োগকর্তাকে প্রিভিলেজ লিভ “বিক্রি” করতে পারেননি।

The government employees smiled at the High Court's order.

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন দত্তরাম সাওয়ান্ত। তিনি ২০১৫ সালে চাকরি ছাড়েন। পাশাপাশি, ১৯৮৪ সালেই ক্যাশিয়ার হিসেবে ব্যাঙ্কে যোগ দেন  সীমা সাওয়ান্ত। তিনিও ২০১৫ সালে চাকরি ছাড়েন। এমতাবস্থায়, সব নিয়ম মেনে পদত্যাগ করার পরে ব্যাঙ্কের তরফে তাঁদের সন্তোষজনক কাজের “সার্টিফিকেট” দেওয়া হয়। যদিও, তাঁরা তাঁদের লিভ এনক্যাশমেন্ট করতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন: ২,৪৯,৭৭,৪৯,০০,০০০ টাকা নিয়ে বসে আছেন আদানি! এবার নিচ্ছেন দেশ থেকে বেরনোর প্রস্তুতি

যার ফলে তাঁরা কোনো উপায় না পেয়ে তাঁদের অধিকার বুঝে নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট রায় দিল ব্যাঙ্ক কর্মীদের পক্ষে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্য বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ওই দুই প্রাক্তন কর্মীকে তাঁদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভের বদলে ন্যায্য টাকা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, “বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া লিভ এনক্যাশমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিকার থেকে কাউকে এভাবে বঞ্চিত করা যায় না।”

আরও পড়ুন: কাঙালিপনায় কমল তেজ! “নতুন ভারত ঘরে ঢুকে মারছে”, জাতিসংঘে কান্নাকাটি পাকিস্তানের

পাশাপাশি, হাইকোর্ট এটাও জানিয়েছে যে, যদি কখনও বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া যদি কারোর অধিকার এভাবে খর্ব করা হয়, সেক্ষেত্রে তা সংবিধানের ৩০০-এ ধারার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়। জানিয়ে রাখি যে, লিভ এনক্যাশমেন্ট হল একজন চাকরিজীবীর অধিকার। একজন কর্মী সেটি উপার্জন করে থাকেন। তাই, প্রিভিলেজ লিভ বিক্রি করে তার পরিবর্তে টাকা পাওয়ার বিষয়টি একজন কর্মীর অধিকারের মধ্যে পড়ে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর