মাছ চাষের জন্য ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে কেন্দ্র, এভাবে আবেদন করে আয় করুন লাখ লাখ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য নিত্য-নতুন উপায় অবলম্বন করছেন। কৃষকরাও পিছিয়ে নেই এই তালিকায়। চাষাবাদের পাশাপাশি মুরগি পালন, মাছ চাষের মত বিকল্প পদ্ধতিগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখন। পাশাপাশি, এই ধরণের কাজে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকারও সাহায্য করছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে “প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা” নামের একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পের আওতায় মৎস্যচাষীদের মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এই প্রকল্পটি মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে পরিচালিত সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবেও বিবেচিত হয়। নিজস্ব এলাকার মৎস্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে ইচ্ছুকরা খুব সহজেই এই প্রকল্পের অধীনে একটি ঋণ পেতে পারেন।

মাছ চাষে আগ্রহীদের উৎসাহিত করতে ভারত সরকার এই ক্ষেত্রে মৎস্যচাষীদের পূর্ণ সহায়তা করছে। এছাড়াও, ভারত সরকার জাতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনাকে সক্রিয়ভাবে প্রচারও করছে। এই প্রকল্পের অধীনে সরকার কৃষকদের মাছ চাষের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করে।

ভর্তুকির পরিমান কত?
এখন যদি আমরা এতে প্রাপ্ত অনুদানের কথা বলি, তবে এই প্রকল্পের অধীনে সরকার তপশিলি জাতি ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। বাকিদের ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমান থাকে ৪০ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
দেশের সমস্ত মৎস্যজীবী এবং কৃষক এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারেন। স্কিমের শর্তাবলী অনুসারে, আবেদনকারীর ভারতের স্থায়ী নাগরিক হওয়া বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য মানুষকে দ্রুততার সাথে সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিভাবে মিলবে সুবিধা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছ চাষের বিষয়টিকে সবসময়ই লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোনো কৃষক যদি এই প্রকল্পে যোগ দেন এবং মাছ চাষ করেন তাহলে তিনি সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। মাছ চাষের ব্যবসা নির্ভর করে আপনি কতটা জায়গায় মাছ চাষ করছেন তার উপর। আপনি যত বেশি জায়গায় এটি শুরু করবেন, আপনার লাভও তত বেশি হবে।

প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে, কোনো মৎস্যজীবী যদি তাঁর ক্রেডিট কার্ড তৈরি করেন, তবে তাঁকে সরকার কর্তৃক ১.৬০ লক্ষ টাকা কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, এর চেয়ে বেশি ঋণের প্রয়োজন হলে মৎস্যচাষীরা সরকার অনুমোদিত সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া এই ঋণে অন্যান্য ঋণের তুলনায় কৃষকদের কম সুদ দিতে হয়।

16183275966075b82c2861b0.15560913

আপনিও যদি এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে চান, তাহলে সরাসরি https://dof.gov.in/pmmsy-এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর