পেঁয়াজ নিয়ে বড় স্বস্তি দিল সরকার! নেওয়া হল বিরাট পদক্ষেপ, জারি সার্কুলার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশে (India) চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে, সরকার শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (Minimum Export Price, MEP) নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি টনে ৫৫০ ডলার। ইতিমধ্যেই Directorate General of Foreign Trade (DGFT) একটি সার্কুলারে জানিয়েছে, “পেঁয়াজ রপ্তানি নীতি অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত টন প্রতি ৫৫০ ডলারের MEP-র অধীনে সীমাবদ্ধতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সংশোধন করা হয়েছে।” উল্লেখ্য যে, গতরাতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সরকার। গত বছরের অগাস্টে, ভারত পেঁয়াজের ওপর ৩১ ডিসেম্বর, ২0২৩ পর্যন্ত ৪0 শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল।

মহারাষ্ট্রের কৃষকরা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন: ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর, সরকার এই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। মার্চ মাসে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এদিকে, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক মার্চ মাসে পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে (প্রথম অগ্রিম অনুমান) পেঁয়াজ উৎপাদন প্রায় ২৫৪.৭৩ লক্ষ টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেটি গত বছরে প্রায় ৩০২.০৮ লক্ষ টন ছিল।

The government took a big step for onions.

তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ৩৪.৩১ লক্ষ টন, কর্ণাটকে ৯.৯৫ লক্ষ টন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৩.৫৪ লক্ষ টন এবং রাজস্থানে ৩.১২ লক্ষ টন উৎপাদন কমেছে। এই আবহে মহারাষ্ট্রের কৃষকরা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। গত মাসে, কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদী সরকারকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কারণে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের অবহেলা করার অভিযোগ করেছিল।

আরও পড়ুন: ভারতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে মলদ্বীপ! চিনের গুপ্তচর জাহাজের পর দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছল তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ

এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সরকার ৩১ মার্চ, ২0২৫ পর্যন্ত দেশি ছোলা আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বা তার আগে জারি করা “বিল অফ এন্ট্রি”-র মাধ্যমে হলুদ মটরের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ও বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! এবারের IPL চ্যাম্পিয়ন হবে KKR, মিলে যাচ্ছে সব হিসেব

জানিয়ে রাখি যে, “বিল অফ এন্ট্রি” হল একটি আইনি দলিল। যেটি আমদানিকারী বা কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এজেন্টরা আমদানিকৃত পণ্যের আগমনের আগে বা তার আগে দাখিল করেন। অর্থ মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, এই সমস্ত পরিবর্তন ৪ মে থেকে কার্যকর হবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর