বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ প্রকল্প চালাচ্ছে। যেগুলির ফলে আর্থিক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন দেশের অভাবী এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা। এছাড়াও, বর্তমানে দেশে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, রেশন, আর্থিক সাহায্য প্রদানের মতো বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রকল্পগুলির মধ্যে বেশ কিছু স্কিম ভারত সরকারের শ্রম মন্ত্রক দ্বারাও পরিচালিত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ই-শ্রম কার্ড। পাশাপাশি, শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই আইকনিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এখন খুব সহজেই প্রশ্ন উঠতে পারে এই আইকনিক সপ্তাহ বিষয়টা কি? এর উপকারিতাই বা কি এবং কারা এর সুবিধা নিতে পারে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতেই এই প্রতিবেদনে আইকনিক সপ্তাহ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হল।
মূলত, আইকনিক সপ্তাহটি শুরু করেছে ভারত সরকারের শ্রম মন্ত্রক। এর আওতায় “ডোনেট এ পেনশন” নামক একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। দিল্লিতে এটি শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। পাশাপাশি, এই স্কিমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ই-শ্রম রেজিস্ট্রেশনও শুরু হয়েছে।
আইকনিক সপ্তাহের সুবিধার প্রসঙ্গ উপস্থাপন করতে গেলে জানাতে হয় যে, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী বাসিন্দা যারা অসংগঠিত সেক্টরে কাজ করছেন তাঁরা এতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। পাশাপাশি, কেউ যদি ৬৬০ থেকে ২৪০০ টাকা পর্যন্ত এখানে জমা করেন, তবে তাঁরা তাঁদের বয়স অনুসারে ৬০ বছর পরে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।
অর্থাৎ সহজ হিসেবে, সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন শ্রমিক যদি বছরে ৬৬০ টাকা থেকে ২,৪০০ টাকা জমা করেন, তাহলে তিনি তাঁর বিনিয়োগের বয়স অনুযায়ী ৬০ বছর পরে ৩ হাজার টাকা পেনশন পেতে সক্ষম হবেন। তবে, অবশ্যই তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে হতে হবে।