নিজের বিয়ের তারিখই ভুলে গিয়েছিল বর, পরের দিন কনের বাড়ি যেতেই পাত্রী দেখাল আসল মজা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আমাদের পড়শি রাজ্য বিহারে (Bihar) মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে রয়েছে। তবে, এবার সেই মদের কারণেই সেখানে ভেস্তে গেল একটি বিবাহের (Marriage) অনুষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর অবাক হবেন সকলেই। জানা গিয়েছে, মদ খেয়ে বর এতটাই “মাতাল” হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর বিয়ের তারিখই ভুলে যান।

শুধু তাই নয়, নেশা কাটতেই তিনি বিয়ের নির্ধারিত দিনের পরের দিন বরযাত্রীদের নিয়ে বিয়ে করতে পৌঁছে যান কনের বাড়িতে। এদিকে, মদ্যপ বরের এহেন কীর্তি সামনে আসতেই তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন কনে। শুধু তাই নয়, কনেপক্ষের লোকজন রেগে গিয়ে বরপক্ষের সাথে আসা লোকজনকে আটকে রেখে বিয়ের আয়োজনের জন্য হওয়া খরচও আদায় করে নেন বলে জানা গিয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরে।

এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গত সোমবার কাহালগাঁও এলাকার আন্টিচক গ্রাম থেকে বরসহ বরযাত্রীদের সুলতানগঞ্জের অন্য একটি গ্রামে আসার কথা ছিল। এমতাবস্থায়, কনেপক্ষের লোকজনের তরফে বিয়ের প্রস্তুতিও সেইমত নেওয়া হয়। অতিথিরাও যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত বর না আসায় কনের পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ে।

নিজের বাড়িতেই পৌঁছতে পারেননি বর: তারপরেই জানা যায় যে, বিয়ের দিন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন খোদ বর। শুধু তাই নয়, তিনি এতটাই মদ খেয়েছিলেন যে তাঁর বিয়ের দিনটাও তিনি মনে করতে পারেনি। এমনকি নিজের বাড়িতেও পৌঁছতে পারেননি ওই “মাতাল” বর। আর সেই কারণে বরযাত্রীরাও আসতে পারেননি। এমতাবস্থায়, মঙ্গলবার বরের নেশা কমে গেলে তিনি দ্রুত পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ের উদ্দেশ্যে পৌঁছে যান।

whatsapp image 2023 03 17 at 12.06.00 pm

টাকা দেওয়ার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়: যদিও, তারপরে ওই বরকে বিয়ে করতে চাননি কনে। পাশাপাশি, কনেপক্ষের লোকজন বর সহ তাঁর সঙ্গে আসা সবাইকে আটকে রাখেন। এছাড়াও, তাঁরা জানান, বিয়ের প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যেই অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তারপর পঞ্চায়েত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিয়েতে যে বিপুল খরচ হয়েছে তা বরপক্ষকেই বহন করতে হবে। এমতাবস্থায়, টাকা পাওয়ার পরই বরপক্ষের লোকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর