বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে আজ অর্থাৎ রবিবার সমগ্র ভারত জুড়ে জনতা কার্ফুর (Janata curfew) ডাক দেয় মোদী (Narendra modi) সরকার। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব দলের নেতৃবৃন্দরাই। সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়ে গেছে এই জনতা কার্ফু। এবং চলবে রাত ৯ টা অবধি। প্রায় সম্পূর্ণ সফলের পথে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।
জনতা কার্ফু জারী থাকলেও জরুরীকালিন বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিরা কিন্তু তাঁদের কাজ করেই চলেছনে। তাই সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য বিকেল ৫ টায় হাততালি দিয়ে, থালা বাসন বাজিয়ে বা ঘন্টা বাজিয়ে তাঁদের কাজে উৎসাহ প্রদানের বিষয়ে জানান মোদীজি। তিনি ভারতবাসীকে আহ্বান জানান, বিকেল ৫ টার সময় জরুরীকালিন পরিষেবায় কর্মরত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানানোর জন্য। এই অভিনন্দন জানানোর জন্য গতকালই নয়ডা এবং ব্যাঙ্গালুরুর বহুতলের বাসিন্দারা প্রশিক্ষণ পর্ব সেরে নিলেন। মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে নির্দিস্ট দিনের আগেই তাঁরা মহড়া শুরু করে দিলেন তাঁরা।
ভারতে (India) এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭০ এর কাছাকাছি এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮। সংকটজনক পরিস্থিতিতে আজ থেকেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান, পাঞ্জাব সহ আরও একটি রাজ্য। বরিবার দুপুর থেকেই লোকাল এবং দুরপাল্লার সব ট্রেন পরিষেবা বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। করোনাপরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগামীকাল থেকেই কলকাতা সহ ৭৫ টি জেলায় লকডাউনের সিধান্ত নেয় সরকার। আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি থাকেব সকল পরিষেবা বন্ধ। শুধুমাত্র জরুরীকালিন পরিষেবা খোলা থাকবে। জনগণকে এই কটা দিন ঘর থেকে পুরোপুরি বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হচ্ছে। আগামিকাল দুপুরের মধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির অবন্নতি হলে এই লকডাউনের সময়সীমা বাড়তেও পারে।
জনতা কার্ফু জারি হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই মোদীজি এক ট্যুইট করে বলেছিলেন,মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। তারপরই শুরু হবে জনতা কার্ফু। আসুন আমরা একত্রিত হয়ে এই কার্ফুতে অংশগ্রহণ করে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করি। আমাদের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে অনেক সাহায্য করবে’। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা, দেখা যাক তারপর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঠিক কতজন অংশগ্রহণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে ভারতবাসী।