বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বহুদিন পর সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। তবে এবার তাঁর নামে কোন অভিযোগ নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়লেন নিজেই। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে, গেলেন পরখ করে দেখতে।
বেশকিছু দিন ধরেই চন্দনা বাউড়ির কাছে অভিযোগ আসছিল, সঠিক সময়ে পঞ্চায়েতে আসেন না বাঁকুড়ার (bankura) মেজিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। যার কারণে কোন সই নিতে গেলে, কোন সমস্যার সমাধান করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর এই বিষয়টা যাচাই করে দেখতে, নিজেই হাজির হলেন পঞ্চায়েত অফিসে।
এদিন পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে চন্দনা বাউড়ি দেখেন, সঠিক সময়ে পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত নেই প্রধান। বেলা সাড়ে ১২ টা বেজে গেলেও, তাঁর দেখা মেলে না। সেখানে উপস্থিত মানুষজনকে জিজ্ঞেসা করতেই, তাঁরা জানায়- কোন দিন নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসেন না প্রধান। কোন কোন দিন তাঁর আসতে বেলা তিনটেও বেজে যায়। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বেলা ১ টা নাগাদ অফিসে উপস্থিত হন প্রধান প্রতিমা দাস।
এবিষয়ে চন্দনা বাউড়ি বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই এসে বলেছিলেন এমএলএ-র সই চাই। কিন্তু সঠিক সময়ে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না’।
নিজের দিকে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিমা দাস বলেন, ‘বাইরে বিভিন্ন কাজ থাকার কারণে প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা দেখে আসা সম্ভব হয় না। আর শালতোড়া বিধানসভার বিধায়ক যেদিন অফিসে আসেন, সেদিন আমার অসুস্থতার কারণে অফিসে পৌঁছাতে পারিনি, এমনকি বিডিও অফিসের মিটিংয়েও যেতে পারিনি। আমার পঞ্চায়েতে উপস্থিতির বিষয়টা, এলাকায় একবার খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন’।