বিলুপ্ত হতে চলা চড়ুই পাখি ও কচ্ছপকে রক্ষা করতে অভিনব কাজ করেন এই হিরো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গ্রাম থেকে লুপ্ত হওয়া চড়ুই (Sparrow) ফিরিয়ে আনতে প্রতিপালনের কজ শুরু করলেন ওড়িশার (Odisha) রবীন্দ্র সাহু। চিত্রগ্রাহক বন্ধু লিঙ্গরাজ পান্ডা পাখির ছবি তুলতে গিয়ে অভাব বোধ করেন। বিষয়টি রবীন্দ্র সাহুকে জানাতেই তিনি চড়ুই পাখি সংরক্ষণের কাজে এগিয়ে আসেন। ১১ টা দিয়ে শুরু করে আজ তাঁদের সংরক্ষণে প্রায় ৩০০ চড়াই পাখি রয়েছে।

sparrow 222

অলিভ রিডলি কচ্ছপ করেন রবীন্দ্র সাহু। তার গ্রামবাসীদের কচ্ছপ এবং কচ্ছপের ডিমের সংরক্ষণের বিষয়ে বোঝান তিনি। প্রথমে সমুদ্রতীরে ৩০ হাজার কচ্ছপ ছিল, তবে এখন তাঁদের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ কচ্ছপ রয়েছে সমুদ্র তীরে। এছাড়াও তিনি আরও বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণের কাজ করে থাকেন। একদিন ছবি তুলতে গিয়ে চড়ুই পাখির অভাব বোধ করেন চিত্রগ্রাহক লিঙ্গরাজ পান্ডা। তিনি এই বিষয়টি বন্ধু রবীন্দ্র সাহুকে জানালে, তিনি উদ্যোগ নেন কচ্ছপ সংগ্রহের পাশাপাশি চড়ুই পাখি সংগ্রহের।

sparrow 5555

 

প্রথমে তিনি এলাকার বেশ কিছু বাড়ির ছাদে চাল আর দানা রাখতে শুরু করেন। কিন্তু আতি ঘনবসতিপূর্ণ বাড়ি হওয়ায় সেখানে চড়ুই পাখির আগমন কম দেখা যায়। কংক্রিটের বাড়ি বেশি থাকায় আসতে আসতে চড়ুই পাখির বসবাসের জায়গা কমতে শুরু করে। এ ছাড়া মাঠে কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার এবং গাছ কাটার মতো সমস্যর ক্ষেত্রেও চড়ুই পাখির বাসার অভাব দেখা দেয়। ধীরে ধীরে তিনি চড়ুই পাখির থাকার জন্য নতুন জায়গার সন্ধান করতে থাকেন।

নতুন জায়গা পাওয়া মাত্রই রবীন্দ্র সাহু তার বন্ধুদের নিয়ে সেখানে চাল এবং দানা রাখতে শুরু করেন। প্রথম দিকে মাত্র ১১ টি চড়ুই আসলেও ধীরে ধীরে তাঁদের সংগ্রহে মোট ৩০০ টি চড়ুই পাখি আছে। মোট ১১ টি জেলায় তাঁদের এই চড়ুই সংগ্রহের কাজ চলছে। এরপর তারা প্লাইউড, বাঁশ এবং নারকেলের উপকরণ দিয়ে চড়ুইদের থাকার জন্য ২ হাজাররেও বেশি কৃত্রিম বাসা বানিয়ে গ্রামে গ্রামে উপহার দিয়েছেন।

sparrow

দুর্দান্ত এই সাফল্যের বিষয়ে তিনি জানান, ‘প্রথম দিকে আমি চড়ুই পাখি সংরক্ষণের বিষয়ে বিশদে কিছু জানতাম না। প্রাথমিক ভাবে খুব সামান্য অর্থ ব্যয় করে মাটির পাত্র কিনে, তাতে দানা রেখে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে বাসা বানিয়ে রেখে দিতাম। তাঁদের সাহায্যে আবার বিকালের দিকে ওই বাসাগুলো দেখতে যেতাম। এইভাবে একদিন দেখি সেখানে দুটি চড়ুই পাখি ডিম পেরে, সেই ডিম ফুটিয়েও তুলেছে। তারপর থেকে আমি আমার কাজে আরও উৎসাহ পাই এবং মানুষজনের সাহায্যও পেতে থাকি’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর