বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে রেফার সমস্যা বহুদিনের। এই নিয়ে অতীতে বহুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন হাসপাতালগুলিকে। গতকালই একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। রেফার বন্ধ করার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশের ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই ফের একবার রোগীকে অন্য জায়গায় রেফার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তবে এই রেফার অন্য রেফারের থেকে একটু আলাদা। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে হাতের প্লাস্টার কাটতে আসা রোগীকে দেখিয়ে দেওয়া হল পানের দোকান!
জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এক রোগী এই হাসপাতালে আসেন হাতের প্লাস্টার কাটার জন্য। তাকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোজা বলে দেওয়া হয় পানের দোকান থেকে প্লাস্টার কেটে আসতে। এরপর রোগী নিজেই প্লাস্টার কাটার চেষ্টা করেন। সেই ঘটনাটি চোখে পড়ে এলাকার এক বাসিন্দার। তার সূত্রে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতাল পাড়ার এক বাসিন্দা বাপি প্রধান জলপাইগুড়ি হাসপাতালে সামনে দিয়ে গতকাল বিকেলে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি লক্ষ্য করেন নিজেই নিজের হাতের প্লাস্টার খুলতে চেষ্টা করছেন এক বয়স্ক ব্যক্তি। তার নাম গোবিন্দ দত্ত রায়। তিনি জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া বস্তি পাড়ার বাসিন্দা। এরপর বাপি বাবু বয়স্ক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হাসপাতালে প্লাস্টার কাটার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু বলা হয় যে হাসপাতালে প্লাস্টার কাটার মেশিন খারাপ। তিনি যেন বাইরের পানের দোকান থেকে প্লাস্টার কাটিয়ে নেন। এরপর তিনি পানের দোকানে গেলে তার কাছ থেকে ১৫০ টাকা দাবি করা হয়। গোবিন্দ বাবু বলেন তার কাছে টাকা না থাকায় তিনি নিজেই নিজের হাতের প্লাস্টার খোলার চেষ্টা করছেন।
ঘটনাটি নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের উপঅধ্যক্ষ ডাক্তার কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, এই ধরনের কোন অভিযোগ তার কাছে আসেনি। তবে যদি এটি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।