বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে প্রেম নাকি কোনো বাধা মানেনা। পাশাপাশি, প্রেম এমনই একটি জিনিস যা জীবনে কখন উপস্থিত হবে কেউই বলতে পারেনা। গত বছরের ডিসেম্বরে হাওড়ার নিশ্চিন্দার দুই গৃহবধূ ও রাজমিস্ত্রির প্রেমকাহিনি আমরা সবাই জানি। এই ঘটনায় রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। এখনও প্রেমিকাদের আশায় অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন রাজমিস্ত্রিরা। তবে, সেই রেশ যেতে না যেতেই এবার দাসপুরে এমন এক কান্ড ঘটেছে যা শুনে অবাক সকলেই।
মাত্র দেড় মাস আগে হয়েছিল বিয়ে। কিন্তু, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যেতে না যেতেই প্রেমে পড়ে যান এক গৃহবধূ। তবে, এবারেও বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির প্রেমেই পড়ে যান বছর একুশের ওই গৃহবধূ। এমনকি, বাড়ি ছেড়ে পালানোরও চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে, হতে পারেননি সফল। শেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান ওই যুবতী সহ তাঁর প্রেমিক। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে।
জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে দাসপুরের দরি অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী পাত্রের বিয়ে হয় ওই গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন জয়ন্তী। আর পাঁচজনের মত তাঁরও স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন। কিন্তু, তখনই জয়ন্তীর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসেন রাকেশ শেখ ও শেখ মনিরুল নামে দুই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ওই দুই রাজমিস্ত্রি বীরভূমের পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা। এদিকে, কাজ করতে আসার সুবাদেই জয়ন্তীর সঙ্গে পরিচয় হয় শেখ রাকেশের। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়ার সাথে সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এমতাবস্থায়, নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে বাড়ি ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই যুগল। আর তাঁদের এই কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন শেখ মনিরুল নামের অন্য এক রাজমিস্ত্রি।
গত শুক্রবার রাতেই জয়ন্তীকে নিয়ে পালানোর ছক কষে ছিলেন শেখ রাকেশ ও শেখ মনিরুল। যদিও, পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা। এরপরই ওই গৃহবধূকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, ওই দুই রাজমিস্ত্রিকে আটক করা হয়।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর