বাংলা হান্ট ডেস্ক: “তাজমহল” (Taj Mahal) পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় থাকা এই স্মৃতিসৌধটি স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে বানিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান (Shah Jahan)। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি ইতিমধ্যেই স্ত্রীর ইচ্ছেপূরণে এক বিরল নজির তৈরি করে ফেলেছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার স্ত্রীর স্বপ্নপূরণ করতে সন্তোষী মায়ের বিশালাকার মন্দির তৈরি করেছেন ওড়িশার এক ব্যক্তি। এমনকি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই মন্দির তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। ওড়িশার জাজপুর জেলার চিকানা গ্রামে তৈরি করা হয়েছে ওই মন্দিরটি। এমতাবস্থায়, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা রীতিমতো অবাক করেছে সবাইকেই।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘”ওড়িশা টিভি” সূত্রে জানা গিয়েছে খেত্রবাসী লেঙ্কা নামের এক ব্যক্তি ওই মন্দিরটি তৈরি করছেন। পেশায় শিল্পপতি খেত্রবাসী লেঙ্কার স্ত্রী বৈজয়ন্তী সন্তোষী মায়ের বড় ভক্ত। এমতাবস্থায়, ওই দম্পতি হায়দ্রাবাদে থাকলেও বৈজয়ন্তী চেয়েছিলেন গ্রামেই সন্তোষী মায়ের একটি মন্দির তৈরি হোক। তাই, স্ত্রীর স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি।
মন্দির তৈরির প্রসঙ্গে বৈজয়ন্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘গ্রামে মন্দির তৈরির জন্য আমার খুব ইচ্ছে ছিল। আমি আমার স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমার স্বপ্ন সত্যি করেছেন। আমরা ছোটখাটো মন্দির তৈরি করতে চাইলেও ভগবানের আশীর্বাদে সুন্দর একটা মন্দির তৈরি করতে পেরেছি।’’
উল্লেখ্য যে, সন্তোষী মায়ের এই মন্দিরটি দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই মন্দির তৈরির কাজ। যা অবশেষে সম্পূর্ণ হয়েছে। জানা গিয়েছে, নবনির্মিত এই মন্দিরে সন্তোষী মায়ের মূর্তি ছাড়াও শিব, হনুমান, গণেশ ও নবগ্রহ দেবতার পুজো করা হবে।