স্ত্রীকে ফেলেই ১৫০ কিমি পাড়ি! ভুল ভাঙতেই স্বামী জানালেন, “আমি ভেবেছিলাম পিছনের সিটে ঘুমোচ্ছে”

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছুটি কাটাতে রোড ট্রিপে (Road Trip) গিয়েছিলেন এক দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই উপভোগ করছিলেন সেই সফর। যদিও, টয়লেট ব্রেকের জন্য গাড়ি মাঝপথে থামলেও তারপরে সফরে থাকলেন একজনই! মূলত, স্ত্রীকে ছাড়াই গাড়ি নিয়ে সটান চলে গেলেন স্বামী। এমতাবস্থায়, মাঝরাতে নির্জন জায়গায় অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর কাছে কোনো ফোনও ছিল না। আর এই ঘটনাই এবার সামনে এসেছে থাইল্যান্ড (Thailand) থেকে।

এই প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৫ বছরের বুন্টম চামুন তাঁর স্ত্রী আমনুই চামুনকে নিয়ে নিজের শহরে যাচ্ছিলেন। গত ২৫ ডিসেম্বরে ওই দীর্ঘ সফরের সময়ে বিকেল ৩ টের দিকে বুন্টম টয়লেটে যাওয়ার জন্য গাড়িটি দাঁড় করান। এদিকে, তখন তাঁর স্ত্রীও শৌচকর্মের জন্য পাশের জঙ্গলে যান। এমতাবস্থায়, বুন্টম এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। যেকারণে তিনি ফিরে এসে গাড়ি চালিয়ে চলে যান।

ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে কিছুই জানা যায়নি: এদিকে, তাঁর স্ত্রী যখন ফিরে আসেন, তখন গাড়ি বা তাঁর স্বামীকে না দেখতে পেয়ে তিনি রীতিমতো অবাক হয়ে যান। এমনকি, তাঁর ফোনও গাড়িতেই থেকে যায়। এমতাবস্থায়, তিনি আশা করেছিলেন যে, কিছু সময়ের মধ্যেই স্বামী তাঁকে নেওয়ার জন্য ফেরত আসবেন। কিন্তু, পাঁচ ঘণ্টা অতিক্রম হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি তাঁর। মূলত, বুন্টম বুঝতেই পারেননি যে, তাঁর স্ত্রী গাড়িতে নেই! জানা গিয়েছে, তাঁরা দু’জনেই ২৭ বছর ধরে বিবাহিত। তাঁদের এক ছেলেও রয়েছে। যার বয়স ২৬ বছর।

২০ কিমি পথ হেঁটেই পার করেন ওই মহিলা: এদিকে, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও স্বামীর কোনো দেখা না মেলায় ওই মহিলা হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি, প্রায় ২০ কিলোমিটার হাঁটার পর ভোর ৫ টার দিকে কাবিনবুড়ি জেলায় পৌঁছন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীকে ফোন করবেন। কিন্তু স্বামীর ফোন নম্বর মনে ছিল না তাঁর। এমতাবস্থায়, তিনি তাঁর নিজের ফোনে কমপক্ষে ২০ বার ফোন করলেও তাতে কোনো উত্তর মেলেনি। এদিকে, সকাল ৮ টার দিকে পুলিশের সহায়তায় ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।

whatsapp image 2022 12 29 at 5.51.07 pm

ক্ষমা চেয়ে নেন স্বামী: আসলে বুন্টম ভেবেছিলেন তাঁর স্ত্রী হয়তো গাড়ির পেছনের সিটে ঘুমোচ্ছেন। আর সেই অবস্থাতেই তিনি ১৫০ কিমি পর্যন্ত এগিয়ে যান। এমতাবস্থায়, ওই ব্যক্তি পুরো বিষয়টি জানতে পেরে ভুল বুঝতে পারেন। পাশাপাশি, তিনি অনুতপ্তও হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বুন্টম তাঁর কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়ে নেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর