বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে এবং আর্থিক সংকটের ফলে নাজেহাল সারা বিশ্বের মানুষ। তেলের দাম বাড়াতে শুরু করে মূল্যবান বিভিন্ন জিনিস, পেট্রোল-ডিজেল সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার ফলে সমস্যায় বহু মানুষ। তবে আশার কথা শোনাও গেছে। ভারতে এই আর্থিক টানাটানির প্রভাব হয়তো নাও করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে এর পিছনে কারণ কি আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সূত্রের খবর, ভারতীয় বাজারে পেট্রল, ডিজেল ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা সম্ভবত নেই। এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে যুদ্ধের মধ্যে শান্তির বার্তা এবং সম্প্রতি চীনে লকডাউন। উল্লেখ্য এই দুটি কারণ-এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধির হাত থেকে কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। কাঁচা তেলের যে দাম একসময় দেড়শ ডলারের কাছে পৌঁছে ছিল তা বর্তমানে একশোর নীচে পর্যন্ত নেমে এসেছে যা এক খুশির খবর হিসেবে ধরা যেতে পারে। এছাড়াও ভারতবাসীকে যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকার নিজেদের প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। শোনা যাচ্ছে ইরান এবং ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে কাঁচা তেল আমদানির পথ খুঁজে চলেছে ভারত। এছাড়াও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে পরোক্ষভাবে ভারত রাশিয়ার পাশে থেকেছে এবং বর্তমানে যখন অন্যান্য দেশ গুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেই মুহূর্তে রাশিয়ায় তৈরি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতকে পাশে চেয়েছেণ এবং সূত্রের খবর দুই দেশের মধ্যে তেল এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস এর আমদানির বিষয়ে কথা চলছে। এর ফলে রাশিয়ার থেকে ভারত সস্তা দরে কাঁচা তেল আমদানি করতে পারে।
আমাদের দেশে পেট্রোল, ডিজেল, তেল এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসের দাম যে হ্রাস পাবে তা বলাই যায়। এর থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে ভারত সরকারের সবরকম প্রচেষ্টা এবং বর্তমানের শান্তি বার্তা ও চীনের লকডাউন এর কারণে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব ভবিষ্যতে ভারতে যদি না পড়ে তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।