বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বক্স অফিসে ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’ মুভি রিলিজ করার পর থেকেই সকলের মুখে মুখে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আট থেকে আশি সকলেই পছন্দ করেছে মুভিটি। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড তৈরি করেছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই সিনেমা।
বর্তমানে সিনেমাটির দুর্দান্ত সাফল্যের পর গণহত্যা নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করার ঘোষণা করলেন স্বয়ং পরিচালক। তবে কেন এরকম ঘোষণা করলেন তিনি, চলুন দেখে নেওয়া যাক। সম্প্রতিজ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’ মুভিটি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার ওপর তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তাদের ওপর অত্যাচার এবং নির্যাতনের ছবি স্পষ্ট তুলে ধরা হয়। সিনেমাটি মুক্তির দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় 200 কোটি টাকা অর্জন করেছে এবং এই সাফল্যের পর বেশকিছু রাজ্যে সিনেমাটি করমুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ।
মধ্যপ্রদেশে মুভিটি করমুক্ত করার পর পরিচালক মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি বলেন যে, গণহত্যার বিষয়টিকে মানুষের মধ্যে তিনি তুলে ধরতে চান। এবং সে কারণে তিনি এটি নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করতে চান, যার জন্য তাঁর কিছু জমির প্রয়োজন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান বিবেক অগ্নিহোত্রীকে জমি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং এই কথোপকথনের ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিবেক।
BIG ANNOUNCEMENT:
Our @i_ambuddha Foundation & @kp_global were working to build a Genocide Museum. Today, when I requested @ChouhanShivraj ji about it, he instantly granted land & logistical support. This will be fully funded by us & the people. It will be a symbol of Humanity. pic.twitter.com/87EQJfoBCR
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) March 25, 2022
প্রসঙ্গত, দ্য কাশ্মীরি ফাইলস মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমনকি পরিচালকের ওপর হামলা করার চেষ্টার ঘটনাও ঘটে। পরিচালক জানিয়েছেন, একদিন তাঁর অফিসে কিছু লোক প্রবেশ করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় তিনি কিংবা তাঁর বউ দুজনেই অফিসে হাজির না থাকায় তাঁরা রক্ষা পেয়ে যান। সেই সময় অফিসে হাজির তাঁদের ম্যানেজারকে পরিচালকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তাঁকে সেখানে না পেয়ে সেই মহিলা ম্যানেজারকে ঠেলে ফেলে দিয়ে তারা অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।
এহেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন বিবেক। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালককে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে এই বিতর্ক কোথায় গিয়ে থামে, সেদিকে নজর সকলের।