রক্ষকই ভক্ষক; রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদের বিরুদ্ধেই ধর্ষনের অভিযোগ ৬০ হাজার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ যাদের ওপর বিশ্ব শান্তির ভার সেই রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীরাই ঘটিয়ে চলেছেন শিশু ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো অপরাধ। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই রাষ্ট্রপুঞ্জের এনজিওর কর্মী বা উদ্ধারকারী দলের সদস্য।

৩৩১টি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়লেও তাঁর কোনো সুরাহা হয়নি

রাষ্ট্রপুঞ্জের এক শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিক অ্যান্ড্রু ম্যাকলয়েড ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) অধিবেশনে জানালেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজে যাওয়া উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের একটা বড় অংশই ধর্ষক। তাদের ধর্ষিতাদের বেশীরভাগই শিশু।

25Nations superJumbo
ছবি প্রতীকি

 

২০১৮ সালে এমন আরেকটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তিনি। অধ্যাপক, সমাজকর্মী অ্যান্ড্রু ম্যাকলয়েডের দাবি, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থার এই কর্মীরা। পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে নাগরিকদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার বদলে শিশু ধর্ষণ, শিশু ও নারী পাচারের মতো ঘৃণ্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।

অ্যান্ড্রু ম্যাকলয়েড রাষ্ট্রপুঞ্জের এমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন বহু বছর। কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন। রিপোর্টে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের ছাতার তলায় থাকা বিভিন্ন সংস্থায় অন্তত ৩,৩০০ শিশু ধর্ষক লুকিয়ে রয়েছে। ভালো মানুষের মুখোশ পরে তারা এই জঘন্য অপরাধ ঘটিয়ে চলেছে বছরের পর বছর। শিশুরাই মূলত তাদের যৌন লালসার শিকার। গত দু’দশকে অন্তত ৬০ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এই তথ্যকে অস্বীকার করতে পারেননি রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেস। অভিযোগ মেনে নিয়ে তিনি বলেছেন, এনজিও ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাই শিশু ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার সাথে যুক্ত। ৩৩১টি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়লেও তাঁর কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি চিকিৎসা দলের সাথে যুক্ত কর্মীরাও এই কাজে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর