বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করা। আল্লাহই সর্বেসর্বা, তিনিই শুধু রক্ষা করেন, হিজাবই মেয়েদের সম্মান বাঁচাতে সক্ষম, এই ধারণাগুলো পরিকল্পিত ভাবে মাথায় ঢোকানো। আর তারপর নিকাহ করে ধর্মান্তকরণ। এভাবেই একজন দুজন করে গায়েব হয়ে গিয়েছে ৩২ হাজার মেয়ে! নাহ, এ কোনো পরিচালকের মস্তিষ্কপ্রসূত গল্প নয়। এ বাস্তব ঘটনা, যা নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার মতো নৃশংস ইতিহাস তুলে ধরেছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। আবারো এমনি এক সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ছবি। পরিচালক বিপুল শাহের আসন্ন ছবি পর্দায় তুলে ধরবে কেরলের এক শিহরণ জাগানো সত্য ঘটনা। কীভাবে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে ৩২ হাজার মেয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছিল কেরল থেকে সেই সত্য তুলে ধরা হবে ছবিতে।
মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। ট্রেলারে প্রথমে তাঁকে কেরল বাসী এক হিন্দু মেয়ের চরিত্রে দেখানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁকে। শেষে তাঁর জায়গা হয় ISIS-এ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ট্রেলার মুক্তি পেতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অনেকেই লিখেছেন, এই ধরণের সত্য ঘটনা সকলের জানার খুবই দরকার। একজন এমনও দাবি করেছেন, ওই হারিয়ে যাওয়া মেয়েদের মধ্যে একজনকে তিনি চিনতেন। তাকেও একই ভাবে ‘মগজধোলাই’ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। নাবালিকা হওয়ায় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও সে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে লাগাতার খারাপ কথা বলত। পরে তারও জায়গা হয় ISIS-এ।
বলা বাহুল্য, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ছবিটি। এ বিষয়ে পরিচালক বিপুল শাহ বলেন, বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করার পর সত্য ঘটনাগুলো একত্রিত করে বানানো হয়েছে এই ছবি, যা আগে কেউ দেখানোর সাহস করেনি। কিন্তু দেশ তথা দেশের মহিলাদের বিরুদ্ধে কী ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা সকলের জানা দরকার বলে মন্তব্য করেন পরিচালক। আগামী ৫ ই মে মুক্তি পেতে চলেছে দ্য কেরালা স্টোরি।