বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফিফার ব্যান ওঠার পর ভারতীয় ফুটবলের Indian Football) উন্নতিতে অভিনব অঙ্গীকার করেছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) ২০৪৭ সালটিকে ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটি যুগান্তকারী বছর হিসাবে উপস্থাপিত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। তাদের লক্ষ্য এই ২৪ বছরের মধ্যে ভারতীয় ফুটবলকে এশিয়ার (Asia) শীর্ষ চার ফুটবল খেলিয়ে দেশের মধ্যে নিয়ে আসা। সেই উদ্দেশ্যে দিল্লিতে (Delhi) ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল।
সেই উদ্দেশ্যে এবার প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হল। সন্তোষ ট্রফিকে (Santosh Trophy 2022/23) কেন্দ্র করে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। শীঘ্রই আরম্ভ হতে চলেছে সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ পর্ব। দুটি গ্রুপের মোট বারোটি দলের মধ্যে যে দলগুলি সেমিফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে তাদের জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছিল আজ। জানিয়ে দিয়েছে যে এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল আয়োজিত হবে সৌদি আরবের, রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে (King Fahad International Stadium)। ১ থেকে ৪ঠা মার্চ এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলা হবে সৌদি আরবেই।
এই স্টেডিয়ামেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মুখোমুখি হয়েছিল লিওনেল মেসির পিএসজি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নেতৃত্বাধীন সৌদি আরবের দুই বিখ্যাত ক্লাব আল নাসের ও আল হিলালের সম্মিলিত একাদশ! ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন রোনাল্ডো এবং ১ গোল করেছিলেন মেসি। রোনাল্ডো ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেও ওই প্রীতি ম্যাচটি জিতেছিল মেসি, এমবাপ্পের পিএসজি। তার আগের সপ্তাহেই ওই স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ সুপার কাপের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এমন বড় মাপের স্টেডিয়ামে খেলতে পারার সুযোগ পাওয়াটা অত্যন্ত বড় অর্জন হবে যে কোন রাজ্যের ফুটবল দলের কাছে।
সকলেই আশা করছেন যে বাংলার ফুটবল দল সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে উঠতে পারবে এবং ওই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাবে। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে বাংলা এই মরশুমের সন্তোষ ট্রফিতে ভালো ছন্দে রয়েছে। গ্রুপ পর্ব শুরু হওয়ার আগে তারা মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, দমন ও দিউ এবং মহারাষ্ট্রের মতো দলকে হারিয়েছে। এই সময় তারা ১৭ গোল করেছে এবং মাত্র ১টি গোল হজম করেছে। এবার গ্রুপ পর্বে বাংলার সঙ্গে রয়েছে দিল্লি, মণিপুর, মেঘালয়, রেলওয়েজ এবং সার্ভিসেস।
৭ই জানুয়ারির ‘ভিশন ২০৪৭’ আরম্ভের দিনে এআইএফএফ-এর সাধারণ সম্পাদক শাজি প্রভাকরণ নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন, “২০২৩ সালটা আমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ফুটবলকে পিছিয়ে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা এক অকল্পনীয় ভারত এবং অকল্পনীয় ভারতীয় ফুটবল পরিকাঠামো তৈরি করবো ২০৪৭ সালের মধ্যে।” এখন এই উদ্যোগ দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই নিজেদের কথাগুলিকে কাজে পরিণত করার কথা ভাবছে তারা।