বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফেব্রুয়ারীতেই জনসাধারণের জন্য দ্বার খুলে দেওয়া হচ্ছে ‘বেদিক প্লানেটারিয়াম’ (‘Vedic Planetarium’)-র। মায়াপুরে ( Mayapur) তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবথকে বড় মন্দির (Temple)। ২০২২ সালে এই মন্দিরের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর আগেই ভক্তদের উদ্দ্যেশে খুলে দেওয়া হচ্ছে এই মন্দির। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মায়াপুরকে ‘হেরিটেজ’ (Heritage) শহরের তকমা দিয়েছেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িত বহু স্মৃতি রয়েছে মায়পুরে। প্রতিদিনই প্রায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় সেখানে। ভগবানের টানে সেখানে গিয়ে সকলেই ভগবানের নাম স্মরণ করে। মায়াপুরের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে বহু মন্দির। কৃষ্ণ ভক্তদের কাছে মায়াপুর অতি প্রিয় একটি স্থান। শুধু দেশের মানুষ নয়, ভিন দেশ থেকেও প্রচুর ভক্ত আসেন মায়াপুরে। সকলে মিলে একসঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে উপাসনা করেন।
মায়াপুরে ভক্তদের সংখ্যা আরও বাড়াতে তাই তৈরি করা এই বিশেষ মন্দিরটি। এখানে একসঙ্গে প্রায় ১০,০০০ জন ভক্ত ভগবানের নাম নিতে পারবে। মন্দিরের উচ্চতা ৩৮০ ফুট। এই মন্দিরে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে নীল রঙের বলিভিয়ান মার্বেল। বেদের সংস্কৃতিকে আরও ভালোভাবে সমস্ত দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দ্যেশেই এই মন্দির স্থাপন। মন্দির কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সদাভূজ দাস বলেন, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির। ভিয়েতনাম (Vietnam) থেকে মন্দির নির্মানের জন্য মার্বেল আনা হয়েছে। তবে কিছু মার্বেল ভারতেও বানানো হয়েছে।’
মন্দিরে থাকবে বিশাল বড়ো বড়ো ঝাড়বাতি, যার প্রায় ২০ মিটার লম্বা হবে। মন্দিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মন্দির তৈরিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’কোটি কিলোগ্রাম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দিরের প্রত্যেকটি ফ্লোরের আকার হবে প্রায় এক লক্ষ স্কোয়্যার ফুট। এই মন্দিরের গম্বুজের বিশেষত্ব হবে বিশ্বের সবথেকে বড় আর একেবারে অন্যরকম। প্রায় ১০ বছর ধরে তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির। বছরে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মায়াপুরে ভগবান দর্শনে যান। তাই দেশের প্রায় সমস্ত মানুষকে মায়াপুরে লিয়ে আসার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ, বলেন মায়াপুরের মন্দিরের এক সদস্য সুব্রত দাস।