বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘পূর্বপুরুষরা প্রায় ১০০ বছর ধরে এই মন্দিরের পূজারী ছিলেন। আমি মন্দির ছেড়ে কোথাও যাব না। তাতে প্রাণ দিতে হলে, দেব’- এমনটাই বললেন কাবুলের একমাত্র হিন্দু মন্দিরের শেষ পূজারী রাজেশ কুমার (pandit rajesh kumar)। একদিকে যখন প্রাণ ভয়ে সকল আফগানবাসী বিমান বন্দরে ভিড় জমিয়েছেন, সেই সময় অদূরে মন্দিরেই বসে রইলেন পূজারী রাজেশ কুমার।
কাবুলের রত্তন নাথ মন্দিরে বহুদিন ধরে পুজো করেন পূজারী রাজেশ কুমার। তাঁর পূর্বপুরুষরাও এই মন্দিরের পূজারী ছিলেন। তাঁর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীই বহুদিন ধরে তাঁকে দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আত্মগোপন করার কথা বলেছিলেন। এমনকি নিরাপদে তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জন্মভিটে ছাড়তে চাননি কাবুলের একমাত্র হিন্দু মন্দিরের শেষ পূজারী রাজেশ কুমার।
Pandit Rajesh Kumar, the priest of Rattan Nath Temple in Kabul:
"Some Hindus have urged me to leave Kabul & offered to arrange for my travel and stay.
But my ancestors served this Mandir for hundreds of years. I will not abandon it. If Taliban kiIIs me, I consider it my Seva"
— Bharadwaj (@BharadwajSpeaks) August 15, 2021
বর্তমান সময়ে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি পদত্যাগ করে সম্পত্তি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কাবুলের মসনদ এখন তালিবানিদের দখলে। বিগত ২০ বছর পর আবারও আফগান মসনদে জাঁকিয়ে বসেছে তালিবানরা। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ ভয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন মানুষজন। কিন্তু পূজারী নিজের সেবার কাজ ছাড়তে নারাজ, থাকবেন তাঁর নিজের দেশেই।
কাবুলে আগের তুলনায় হিন্দু মন্দির অনেক কমে গিয়েছে। তবে এই একমাত্র হিন্দু মন্দির রত্তন নাথ মন্দিরে প্রায় ১০০ বছর ধরে ভগবানের সেরা করছেন শেষ পূজারী রাজেশ কুমারের পূর্বপুরুষরা। তাই এই সংকটের সময়েও মন্দির ছেড়ে যেতে চাইলেন না পূজারী। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই কাবুল ছেড়ে পালিয়েছেন শেষ ইহুদী পুরোহিত জাবুলন সিমান্তব।
তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেক হিন্দুরা আমাকে কাবুল ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনেকবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি বাইরে আমার থাকার ব্যবস্থাও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই মন্দিরে আমার পূর্বপুরুষরা প্রায় ১০০ বছর ধরে সেবা করে এসেছেন। আমিও মন্দিরের সেবায় নিয়োজিত থাকব। তালিবানরা এসে আমাকে মেরে ফেললেও, মনে করব এটাই আমার ভগবান সেবা ছিল’।