চীনের সঙ্গ দিতে গিয়ে সংকটে নেপালের কৃষকদের জীবন, ভারত থেকে সার আনলে খেতে হচ্ছে পুলিশের মার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (China) সঙ্গ দিতে গিয়ে নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি (K. P. Sharma Oli), ক্রমশ নিজের দেশবাসীর চোখেই ছোট হয়ে যাচ্ছে। নেপালবাসী প্রথমে ভেবেছিল, চীন নেপালের এই মিত্রতা তাঁদের জন্য সুদিন নিয়ে আসবে। কিন্তু, নেপালবাসীর এই ধারণা যে সম্পূর্ণ ভুল, তা প্রমাণ হয়ে গেল।

সংকটে নেপালের কৃষকদের জীবিকা
চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং উল্টো দিকে ভারতের (India) সঙ্গে শত্রুতা করতে গিয়ে নেপালের বাকি এবং বর্দিয়া অঞ্চলের কৃষকদের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয় হয়ে পড়েছে। নিজের গদি বাঁচানোর জন্য লড়তে থাকা নেপাল সরকার কৃষকদের সার দিতে পারছে না, আবার উল্টোদিকে ভারতের বলিয়াগাও থেকে কিনতে গেলে, পুলিশ কৃষকদের মারধর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে।

1246315

সারের প্রয়োজনে ঋণগ্রস্থ নেপালের কৃষক
এই পরিস্থিতি নেপালের ওয়েবসাইট কাঠমান্ডু পোস্টে কৃষকদের দুর্দশার বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, চাষের প্রয়োজনে ঋণ গ্রস্থ কৃষকেরা বিভিন্ন দিকে অসহায় ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদেরকে সরকার প্রয়োজনীয় ইউরিয়া দিতে পারছেনা। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে সার কিনতে গেলে, কৃষকদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

nepal 3

পাশাপাশি বর্দিয়া পুলিশের এসপি কেদার বাবু জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে প্রশাসন কিছুদিনের জন্য সারের উপর থেকে সমস্তরকম রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা হাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের আর কোন ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে কাসটম অফিসে পাঠানো হয়েছে।

নেপালে চাষের অবস্থা শোচনীয়
নেপাল এবং ভারতের শস্য দামের মধ্যেও অনেক তফাত আছে। যে ইউরিয়া ভারতে ৩০০ টাকায় এক বস্তা পাওয়া যায়, তা নেপালে ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। সেই কারণেই সারের দাম বৃদ্ধি পায়। আর চড়া দামে সার কিনতে না পারায়, কৃষকদের চাষের হাল বেহাল হয়ে পড়ছে। যার প্রভাব ফসলের পাশাপাশি, তাঁদের জীবনেও পড়ছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর