বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শিহরণ জাগানো ঘটনা ঘটেছে কোন্নগরের নবগ্রামে। গত এপ্রিল মাসে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন বাড়ির জামাই বাবুসোনা দাস। সেই মাসের ৮ তারিখেই নিজের শ্বশুর বাড়ির উঠোনে খুন হন বাবুসোনা। এমনিতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বাবুসোনা পেশায় ছিলেন এক রাজমিস্ত্রির। তিনি কোন্নগরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ওই ঘটনার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে গিয়ে শাশুড়িকে এক পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন বাবুসোনা। আন্দাজে আগে থেকেই ছিল যে শাশুড়ি প্রেম করছেন। এই নিয়ে তার সঙ্গে আগে ঝামেলাও করেছিলেন। কিন্তু এদিন বিশ্বজিৎ মন্ডল নামের ওই যুবকের সংঘের তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় পরিস্থিতি বিগড়ে যায়।
সম্মান বাঁচাতে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে বিশ্বজিৎ বাবুসোনাকে ছুরি মেরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর তাকে উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান যে তিনি মারা গিয়েছেন। গোটা ঘটনাটি বাবুসোনার শাশুড়ির নিজের চোখে দেখেছিলেন। কিন্তু প্রেমিকের প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রথমে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
বাধ্য হয়ে মে মাসের ১৫ তারিখে কানাইপুর ফাঁড়ির আধিকারিক অনুপ মন্ডল মিনতি দাস এবং তার স্বামী ভুবনকে গ্রেফতার করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়েন মিনতি। গোটা ঘটনাটি এরপর পুলিশের কাছে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয় কোন্নগরের আদর্শনগর থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে যে বিশ্বজিত মন্ডলকে কোন্নগরেই একটি মুরগীর দোকানে কাজ করতেন। পুলিশের জেরায় বিশ্বজিৎ খুনের কথা স্বীকার করে। তাছাড়া বিশ্বজিৎ আরো জানিয়েছে যে গত তিন বছর ধরে মিনতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। একজন পরিচারিকা হিসেবে কাজে যাওয়ার নাম করে বিশ্বজিৎ-এর বাড়িতে আসতেন মিনতি। তাকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে আপাতত খুনের অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।