বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে বিশ্ব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগকে WHO এই রোগকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ভারিতে ফিরিয়ে আনছে মোদী সরকার। শুধুমাত্র নিজেদের দেশের নাগরিক নয়, ভারতের (India) সাথে বিদেশের নাগরিকদেরও ভারতের বিমান উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।
ভারতে এই মারণরোগ সংক্রমক আটকাতে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সাধারণ মানুষকে ৪ ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর বা এসওপি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের (West Bengal) তরফ থেকে। এই নির্দেশিকা প্রত্যেকটি জেলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অর্থাৎ সিএমএইচ, প্রত্যেকটি হাসপাতালের সুপার এবং প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল এবং সুপারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রশাসন অজয় চক্রবর্তী ডিএইচএস জানান, ”করোনাভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা সাধারণ মানুষকে ৪ ভাগে ভাগ করে দেখতে চাইছি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, আশাকর্মী পর্যন্ত যারা গ্রামের প্রত্যন্ত জায়গায় কাজ করেন তাদেরকেও যুক্ত করা হবে। তাঁদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে আগামীকাল থেকে। পদক্ষেপের নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে”।
চারটি পর্যায়ে এই ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ধাপ হল, যেসকল ব্যক্তিরা আক্রান্ত দেশগুলোতে ছিলেন এবং যাদের শরীরে জ্বর রয়েছে সর্দি-কাশির কোন লক্ষণ রয়েছে, তাঁদের ‘high-risk’ অর্থাৎ A ক্যাটাগরি হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এবং তাঁদেরকে সরকার পক্ষ থেকে একেবারে আইসোলেশন-এ রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ হল মডারেট রিস্ক। অর্থাৎ যারা বিদেশ যাননি কিন্তু তাঁরা যদি জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁদেরকে B ক্যাটাগরি হিসাবে নির্বাচন করা হচ্ছে। আবার যদি তাঁরা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস কিংবা শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগে থাকেন এবং তাঁদের বয়স যদি ৬০ বছরের বেশি হয় তাহলে তাঁদের সরকারী তরফ থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি পিরবারকেও আইসোলেশনে রাখা হবে।
C ক্যাটাগরি হল, যেসকল ব্যাক্তি বিদেশ সফর করে এসেছেন কিন্তু তাঁরা জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হননি, তাহলে তাঁদের ১৪ দিন ধরে নজরে রেখে আইসোলেশনে রাখা হবে। আর শেষ ক্যাটাগরি D হল, যারা বিদেশ যাননি এবং তাঁদের জ্বর সর্দি কাশি কিছুই হয়নি, তাঁরা এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবে।