বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুটি অর্ধে দেখা গেল দুই রকম ফুটবল। প্রথমার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাপট এবং গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েলসের দাপট এবং সমতা ফেরানো, সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ শেষ হলো ১-১ ফলে অমীমাংসিত ভাবে। গোল করায় বড় ভূমিকা দিলেন দুই দলের দুই তারকা ফুটবলার।
চেলসির ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের পাস থেকে গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ ওইয়ার ছেলে টিমোথি ওইয়া। আর দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে সমতা ফিরিয়েছিলেন ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল।
যুক্তরাষ্ট্রের গোটা দলটি তারুণ্যের উপর নির্ভর করে তৈরি। তাদের গড় বয়স ২৫-এরও কম। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমার্ধে তাদের গতির সাথে পাল্লা দিতে পারেনি ওয়েলস। অপর দিকে অনভিজ্ঞতার কারণে বেশ কয়েকটি কার্ডও দেখতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তারা যদি তাদের সবকটে সুযোগ কাজে লাগাতে পারতো তাহলে আরও বেশি গোলও হতে পারতো প্রথমার্ধ।
প্রথমার্ধে বিবর্ণ ফুটবল খেলা ওয়েলস ফর্মে ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। বেশ কয়েকবার বক্সে ভেসে আসা সেন্টার থেকে বিপদ তৈরি করেছিলেন ওয়েলসের ফরোয়ার্ডরা। কোনওক্রমে রক্ষা পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েলস তাদের কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৮২ মিনিটে। পেনাল্টি বক্সের ভেতর ইউএসএ-র ডিফেন্ডার জিমারম্যানকে বেকায়দায় ফেলে ফাউল আদায় করেন গ্যারেথ বেল। এবং তাতে পাওয়া পেনাল্টি জালে জড়িয়ে ওয়েলস সমর্থকদের স্বস্তি দেন এই ৩৩ বছর বয়সী প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
চলতি বছরে এদের জুন মাসে গ্যারেথ বেলের গোলে ইউক্রেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ৬৪ বছর পর যোগ্যতাঅর্জন করেছিল ওয়েলস। আজ আবারো ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ওয়েলসের হয়ে প্রথম গোল করলেন বেল। তিনি যে ওয়েলসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার সেই নিয়ে আর কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।