বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। রাজনীতির মঞ্চে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গদি দখল এবং গদি বাঁচানোর লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে দল ভাঙ্গা গড়ার খেলাও। দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে একদলের সদস্যরা গিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছে অন্য দলের দলীয় পতাকা। বাড়ছে ক্ষোভ, বাড়ছে হিংসা।
বেশ কিছুদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন বাংলার মানুষকে বিজেপির মন্ত্রে দীক্ষিত করতে এবার থেকে প্রতি মাসেই বঙ্গ সফরে আসবেন বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা। সেইমত ইতিমধ্যেই বাংলা সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। বাংলার মানুষকে বিজেপির ধর্মে দীক্ষিত করতে জোর কদমে লেগে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যেই কিছুদিন আগেই অমিত শাহের বঙ্গ সফরে তৃণমূলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একঝাঁক নেতৃত্বরা নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। বড় ভাঙ্গন ধরেছে তৃণমূল শিবিরে। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বড় ভাঙ্গনের মুখে তৃণমূল। নতুন দলে যোগদান করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজেপির সদর দফতরে বাংলাকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে বামেরা বাংলাকে বিপথে চালিত করার পর তৃণমূলও সেই পথেই হাঁটছে। রাজ্যবাসীর উন্নতি তো দূরস্থর, ক্রমশ অবন্নতির দিকে এগোচ্ছে বাংলা। আমার এখন লজ্জা করে কি করে ২১ টা বছর ওখানে কাটালাম’।
এরই মধ্যে আবার জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকেই ভোট যুদ্ধে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডেকেছে বিজেপি শিবির। সূত্রের খবর, সেখানে অংশ নেবেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেইসঙ্গে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী সহ মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতৃবৃন্দরাও।