ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যেতেই ঘটল বিপত্তি! চরম বিক্ষোভের সম্মুখীন রাজ্যের মন্ত্রী

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষার আগমন ঘটলেই রীতিমতো চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকেন মালদার (Malda) গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার স্থানীয় মানুষেরা। কারণ, প্রতিবছরই ওই জেলার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গার ভাঙন পরিলক্ষিত হয়। চলতি বছরেও তা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে আতঙ্কের সাথেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছেন যে বিভিন্ন সময়ে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও খুব একটা লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, ভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁরা প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারংবার আবেদন জানালেও কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।

The minister faced protests while visiting the erosion-affected areas.

এমতাবস্থায়, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় এলাকার মানুষদের চরম বিক্ষোভের সম্মুখীন হলেন রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। মূলত, রবিবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তাজমুল হোসেন দুই নম্বর ব্লকের রশিদপুর গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

আরও পড়ুন: কেউ জিতেছেন ভোট, কেউ হয়েছেন পুলিশকর্তা! ২০০৭-এর বিশ্বকাপ জয়ের নায়কেরা এখন কি করছেন?

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মালদা জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের বর্ষাকাল এলেই পড়তে হয় সমস্যার মধ্যে। গঙ্গার ভাঙনের কারণেই কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। কখন, কোথায় বিপদ ঘনিয়ে আসবে তা ভেবেই আতঙ্কে থাকছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, কোথাও গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে জানার পরেই জিনিসপত্র গুটিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: রাহুল দ্রাবিড়ের পর এবার গম্ভীর হেড কোচ? BCCI সভাপতি দিলেন বিরাট খবর

এমতাবস্থায়, এবার হরিশচন্দ্রপুরে ভাঙন শুরু হতেই স্বাভাবিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাড়ছে অসন্তোষও। জানা গিয়েছে যে, ক্রমশ জল বাড়ার কারণে ফুলহার নদীতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, নদীগর্ভে বেশ কয়েকটি বাড়ি তলিয়ে গেছে। বারংবার বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো লাভ না হওয়ায় রবিবার মন্ত্রী ওই এলাকায় পরিদর্শনে গেলে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা, ভাঙন রোধ এবং পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর