বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বে করোনা ভাইরাস (COVID-19) তাঁর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে গেছে। এবং প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রতিনিয়ত চিকিতসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক আবিষ্কাররে জন্য। তবে এখনও বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ভাইরাসের কারণে যেসকল সতর্কতা মেনে চলতে হবে, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়।
১) এই রোগের প্রাথমিক লক্ষ্মণ গুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে অবশ্যই এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
২) আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে কাউকে থাকলে চলবে না। পরিবারের লোকজনদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
৩) আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশেষ কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
৪) চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওষুধপথ্য এবং হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন নিতে হবে।
৫) বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করে, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬) আক্রান্ত ব্যক্তির বিষয়ে জেলা নজরদারি আধিকারিককে সমস্ত স্বাস্থ্যের বিশদ বিবরণ দিতে হবে, যাতে তারা রোগীর অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে পারে।
৭) যদি কোনও মুহুর্তে, রোগী শ্বাস নিতে অসুবিধা বিকাশ করে, বুকে অবিরাম ব্যথা হয়, মানসিক বিভ্রান্তি হয়, মুখ বা ঠোঁটের নীল বিবর্ণতা হয়, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৮) উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো অন্যান্য অসুস্থতা সম্পন্ন লোকদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতা মূলক।
নয়া দিল্লীর বসন্ত কুঞ্জর ফোর্টিস হাসপাতালের পালমনোলজি, মেডিকেল ক্রিটিকাল কেয়ার অ্যান্ড স্লিপ ডিসঅর্ডারস পরিচালক এবং প্রধান ডঃ বিবেক নাঙ্গিয়া জানিয়েছেন, ‘যে রোগীরা চাইলে বারীতে থেকেই চিকিৎসা করতে পারেন। অনেক রোগী আছেন যারা হাসপাতালে আসতে ভয় পান, তাঁদের বাড়িতে যদি যথাযথ জায়গা থাকে, তাহলে তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করতে পারেন। তবে টেস্টের ক্ষেত্রে তাঁকে অবশ্যই হাসপাতালে আসতে হবে’।
এছাড়াও তিনি জানান, ‘যে সকল রোগীরা সামান্য অসুস্থ, তারা যদি হাসপাতালে নাআসেন, তাহলে বেশি পরিমাণে বেড থাকবে হাসপাতালে’। বিভিন্ন দেশে প্রথমে হালকা উপসর্গের ব্যক্তিদের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। যাতে মারাত্মক আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়।