বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার সর্বদাই বিজেপি (Bharatiya Janata Party) তৃণমূল সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, ততই এই সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার নেয়। এবার বিজেপি করার অপরাধে গুলিবিদ্ধ হতে হল বিষ্ণুপুরের এক বিজেপি নেত্রীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানার রঘুদেবপুর গ্রামে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনের লকডাউনেই গুলির আওয়াজে উত্তেজনা ছড়াল গোটা গ্রামে। গুলিবিদ্ধ হতে হল বিজেপির স্থানীয় বুথ কমিটি সহ সভাপতি এবং মহিলা মোর্চার কোষাধ্যক্ষ রাধারানী নস্করকে (Radha rani naskar)।
ঘটনার বিবরণ
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ। লকডাউনের মধ্যেই স্বামী অরুণ নস্করের খোঁজে বিজেপি নেত্রী রাধারানী নস্করের বাড়িতে ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। অরুণবাবুকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ি ভাঙচুর করায়, রাধারানী দেবী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। আত্মরক্ষার্থে দুষ্কৃতীদের দিকে ঝাঁটা ছুঁড়ে মারলে, তারা রাধারানী নস্করের দিকে গুলি নিক্ষেপ করে। মাথার পিছনে বাঁদিকে গুলি লাগার সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
Radharani Naskar, Mahila Morcha worker of BJP South 24 Parganas shot by TMC goons & she remains critical. Women are not spared in TMC’s violent politics, even though the state is governed by a woman CM. People will not forgive TMC for the blood on their hands. pic.twitter.com/Imhz0AQooX
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) September 7, 2020
গুলির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আসার আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগে রাধারানী নস্করকে স্থানীয় এক বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁর অবস্থার অবন্নতির কারণে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত হরা হয়।
বিজেপি করার অপরাধে খুনের চেষ্টা
অভিযোগ উঠেছে বিজেপি করার অপরাধেই গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে রাধারানী নস্করকে। তাঁর স্বামী অরুণ নস্কর হলেন ওই অঞ্চলের বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি। বিজেপি করার কারণেই এই দম্পতিকে খুনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
ঘটনার খবর পেয়ে, সেখানে উপস্থিত হয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এবং ডিএসপি জীবনেশ রায়। বিষ্ণুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, থানার স্পেশ্যাল টিম এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ আসার সাথে সাথেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা।