বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) পিতার শেষকৃত্য যাওয়ার নাম করে, লকডাউন উলঙ্ঘনে গ্রেপ্তার হলেন আমন মনি ত্রিপাঠি (Amarmani Tripathi)। সঙ্গী আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজনোর নাজিবাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের।
যোগী আদিত্যনাথের পিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়েছিলেন তারা
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে লকডাউনের মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় যোগী আদিত্যনাথের পিতা আনন্দ সিং বিস্তের। লকডাউনের কারণে পিতার শেষকৃত্যে যোগ দেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পিতার শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার নাম করে পাস সংগ্রহ করে। কিন্তু আদেও তারা সেখানে যাননি। তবে বিধায়ক আমন মনি ত্রিপাঠি সহ ১১ জন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে চামোলিতে পৌঁছেছিলেন। দেরাদুন থেকে চামোলি পর্যন্ত আম্মানী ত্রিপাঠিকে পুরো প্রোটোকল দেওয়া হয়েছিল।
গ্রেপ্তারের কারণ
ট্রেনে চামোলি পৌঁছে আমন মনি ত্রিপাঠি এসডিএম কর্ণপ্রয়াগের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং তারপরে বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, আমন মানি ত্রিপাঠি গওচরে স্থানীয় প্রশাসনের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং বিস্ময় প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা করাতেও নারাজ হন তারা। যার ফলে জাতীয় দুর্যোগ আইন ও ১৮৮ ধারা অনুসারে বিধায়কসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মুনিকিরাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং পরে ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কর্ণপ্রয়াগের এসডিএম বলেছেন, ‘আমান মানী ত্রিপাঠি অন্যদের সাথে ইউপি থেকে এসেছিলেন। তাঁর ৩ টি গাড়ি ছিল। তাকে গাউচার বাধায় থামানো হয়েছিল। বাধা পেরিয়েও তিনি পার হয়ে কর্ণপ্রয়াগ পৌঁছে গেলেন। তিনি চিকিৎসকদের সাথে তর্ক করেছিলেন এবং স্ক্রিনিংয়ে সহযোগিতা করেননি। তিনি অনেক বোঝানোর পরে ফিরে আসেন’।
গ্রেপ্তার পরবর্তী প্রশ্ন উঠছে
বদ্রীনাথ ধামের শাটডাউন সত্ত্বেও কীভাবে আমন মানী ত্রিপাঠীকে উত্তরাখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।