মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলের দুপাশে উড়ছে জাতীয় পতাকা, দিল্লী জয়ের টার্গেট নিয়েই কি সাজ বদল নবান্নর!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় নতুন সূর্যোদয় করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee)। বাংলার মানুষ ‘বদল চেয়ে’ ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল তৃণমূল সরকারকে। সেই থেকে গত ১০ বছর ধরে বাংলায় রাজ করছে তৃণমূল বাহিনী।

চলতি বছর অর্থাৎ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু বাংলার মানুষ বেছে নেয় আবারও সেই ‘বাংলার মেয়েকেই’। ক্ষমতায় ফিরে হ্যাট্রিক করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এবার লক্ষ্য ২৪-র লোকসভা নির্বাচন জয়ে দেশের মসনদ, অর্থাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছেড়ে এবারের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর আসন।

একুশের নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক শিবির, মমতা ব্যানার্জীকেই প্রধানমন্ত্রী পদে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরেছে। সম্প্রতি দিল্লীও ঘুরে এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। সেখানে গিয়ে সেই মর্মে বিভিন্ন বিরোধী দল নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে, সরকার বিরোধী জোট গঠনের বীজ পুঁতে দিয়ে এসেছেন। সরাসরি দিল্লী মসনদে বসার ইচ্ছাপ্রকাশ না করলেও, সামনে থেকে প্রতিনিধিত্ব করার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।

Mamata National flay

২৪-কে টার্গেট করে বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও রয়েছে সবুজ শিবির। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সেই কাজ বেশ খানিকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল বাহিনী। তবে এসবের মধ্যে বৃহস্পতিবার কিছুটা নতুন সাজে সেজে উঠতে দেখা গেল নবান্নকে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দুপাশে টেবিলে উড়তে দেখা যায় জাতীয় পতাকা (National Flag)। দিল্লী থেকে ফিরে এসেই নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছেন নবান্নকে। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে।

এই ধরণের জাতীয় পতাকা সাধারণত রাষ্ট্রনায়কের ঘরেই দেখা যায়। তবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলের পাশে জাতীয় পতাকা কিন্তু আগে কখনও দেখা যায়নি। অনেকের মতে, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানার্থেই এই পতাকা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু পূর্বেই নবান্নে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও, এরকমটা আগে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে, নবান্নের এই সাজ বদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর