বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার অপরিশোধিত তেল বিক্রির ক্ষেত্রে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এখন থেকে কোনোরকম শর্ত ছাড়াই দেশের তেল উত্তোলক ও উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি দেশের মাটিতেই অপরিশোধিত তেল বা ক্রুড অয়েল বিক্রি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, গত বুধবারই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্মতি দিয়েছে। পাশাপাশি, ওইদিন দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি।
জানা গিয়েছে যে, এবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে অপরিশোধিত তেল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে আর কোনোরকম বিধি-নিষেধ থাকবে না। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর কেন্দ্রের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, মনে করা হচ্ছে এর ফলে এবার থেকে তেল উত্তোলক এবং উৎপাদক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে তাদের পণ্য দেশে বিক্রি করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে আর কোনোরকম সমস্যা হবে না। মূলত, এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপরিশোধিত তেল বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার, সরকারের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারি সংস্থাগুলির যে শর্তগুলি রয়েছে তা আর গ্রাহ্য হবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে কার্যত রেকর্ড তৈরি করে অপরিশোধিত তেলের দাম। ইতিমধ্যেই প্রতি ব্যারেলে তেলের দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে, প্রতি ব্যারেলে অপরিশোধিত তেল কিনতে এখন ভারতের খরচ হচ্ছে প্রায় ১২২ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ হাজার ৫৩৩ টাকা। এমতাবস্থায়, নতুন এই সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশেষজ্ঞমহল।
যদিও, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট আশাবাদী কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। পাশাপাশি, তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগও নতুন করে তৈরি হবে। মূলত, কেন্দ্র গত ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছে সেগুলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই সিদ্ধান্তটিও কার্যকর হবে। পাশাপাশি, এর ফলে খুব সহজেই এই শিল্পের পরিচালনগত ক্ষেত্রে আরও নমনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।” জানিয়ে রাখি, নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আগের মতোই তেল রফতানির ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।