শহীদ হওয়ার খবর পৌঁছেছিল বাড়িতে, জওয়ান ফোনে বললেন- আমি বেঁচে আছি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সীমান্ত এলাকায় চীনা সেনাদের হামলায় শহীদ ভারতীয় সেনাদের (Indian army) শোকে তখন বিমর্ষ গোটা ভারত (India)। শোকে পাথর শহীদদের পরিবার পরিজনও। তেমনই বিহারের সরণ জেলার দিঘড়া গ্রামে সৈনিক সুনীল কুমারের (Sunil Kumar) বাড়িতে। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে।

সারারাত ধরে বাড়ির কেউই অন্ন মুখে তোলেননি। বারবার সুনিলের নম্বরে ফোন করে গেছেন। কিন্তু পরদিন দুপুরে একটি ফোন আসা মাত্রই শোকের পরিবেশ মুহূর্তে আনন্দে ভোরে যায়। ‘আমি বেঁচে আছি’- শোনা মাত্রই পরিবারে সুখের মুহুর্ত তৈরি হয়। প্রাণ হারায়নি তাঁদের ছেলে, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তিনি।

ভারত- চীন সংঘর্ষ
লাদাখ অঞ্চলে ভারত চীন বৈঠক চলাকালীন আচমকাই হামলা চালায় চীনা সেনা। শহীদ হন ভারতের ২০ জন বীর যোদ্ধা। পাল্টা ভারতের আঘাতে খতম হয় ৪৩ চীনা সেনা। ভারতীয় সেনাদের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই একদিকে যেমন দেশ জুড়ে চীন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়, তেমনই অন্যদিকে শোকের ছায়া নেমে আসে শহীদদের পরিবারে।

2020 6largeimg 1157414015

জওয়ানের শহীদ হওয়ার খবর আসে বাড়িতে
এই সংঘর্ষের পরবর্তীতে বিহারের সরণ জেলার দিঘড়া গ্রামে সৈনিক সুনীল কুমারের বাড়িতে খবর এসেছিল, জওয়ান এই যুদ্ধে শহীদ হয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই তাঁর বাড়িতে কান্নার রোল উঠেছিল। পরদিন সকাল ৮.৩০ টায় তাঁদের জানানো হয়, সীমান্ত এলাকা থেকে জওয়ানের মরদেহ তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে বিধায়ক চন্দ্রিকা রাই, প্রতিবেশীরা এবং বেশ কয়েকজন আত্মীয় স্বজন আসতে থাকে সুনীল কুমারের বাড়িতে।

আমি ভালো আছি, চিন্তা কোরো না
সুনীল কুমারের স্ত্রী মেনকা জানান, স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। আচমকাই ফোন আসে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। আর ফোনের অপ্রান্ত থেকে স্বামী জানান, ‘তোমরা চিন্তা কোরো না, আমি ভালো আছি’। এই কথা শোনার পরই মেনকার মনে হয়েছিল, যেন পৃথিবীর সব সুখ তাঁর আঁচলে এসে পড়েছে। এই আনন্দ সংবাদে জওয়ানের ভাই অনিল কুমারও চিৎকার করে জানান, তাঁর ভাই ভাগ্যবান, সে জীবিত এবং ভালোই আছে।

susil

ভুল সংশোধন করে সেনাবাহিনী
ভারতীয় সেনার তরফ থেকে পরবর্তীতে এই ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়। বলা হয় একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাঁদের জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় সুনীল প্রাণ হারিয়েছে। পরবর্তীতে তারা সত্যটা জানার পরই তা সংশোধন করে নিয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর