নাতনিকে বাঁচাতে বিষধর কেউটের সঙ্গে যুদ্ধ ষাটোর্ধ্ব দিদার! মহিলার সাহস দেখে “থ” হয়ে যাবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাপ (Snake) হল এমনই একটি সরীসৃপ যেটিকে অধিকাংশ জনই ভয় পান। পাশাপাশি, এই বিষধর প্রাণী থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন সকলে। এদিকে, আমাদের দেশে প্রতিবছরই কয়েক হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যান। এমতাবস্থায়, এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর শিউরে উঠবেন সকলেই। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জৌনপুরের (Jaunpur) শাহগঞ্জ কোতোয়ালি থানা এলাকার আরগুপুর কালা গ্রামে রবিবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতনির খাটের কাছে একটি কেউটে সাপ পৌঁছেছিল।

সেই সময়ে ওই সাপটিকে নাতনির দিকে এগিয়ে যেতে দেখে বিপদের আঁচ বুঝতে পেরে বয়স্কা মহিলা হাত দিয়ে সেটিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে ওই বিষধর সাপটি তাঁর হাতে কামড় বসায়। এদিকে পুরো বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে পরিবারের সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে তড়িঘড়ি করে ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য একটি প্রাইভেট নার্সিং হোমে ভর্তি করান।

The old woman fought with the poisonous cobra to save her granddaughter

কিন্তু, ততক্ষণে হয়ে গিয়েছে দেরি। চিকিৎসকরা ওই বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, ওই বৃদ্ধার হাত দিয়ে সাপের সঙ্গে লড়াই করে নাতনির জীবন বাঁচানোর ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যেটি তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি ওই ছবিটি প্রত্যক্ষ করে, বৃদ্ধার সাহসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

আরও পড়ুন: অর্থনীতি নিচ্ছে রকেটের গতি! পূর্বাভাসে সংশোধন এনে ভারতের GDP বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ করল Moody’s

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা ৭২ বছর বয়সী সীতা দেবী রাতের খাবার খেয়ে তাঁর ২৪ বছর বয়সী নাতনির সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। এদিকে গভীর রাতে একটি কেউটে সাপ খাটের ওপর উঠে পড়ে। সাপের নড়াচড়ায় সীতা দেবী চোখ খুলে দেখেন যে ওই সাপটি তাঁর নাতনির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেইসময়ে ওই বৃদ্ধা চিৎকার করে সাপটিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু, ওই সাপটিকে ধরার সাথে সাথেই সেটি বৃদ্ধাকে কামড় দেয়।

আরও পড়ুন: আরবের মাটিতে এক টুকরো অযোধ্যা! আবু ধাবির মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়, পৌঁছলেন ৬৫,০০০ মানুষ

এদিকে, শোরগোল শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা গিয়েছে, পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ দাহ করেছে পরিবার। এদিকে, ওই বৃদ্ধা যেভাবে নিজের জীবনের বিনিময়ে তাঁর নাতনির জীবন বাঁচালেন এই বিষয়টি উপলব্ধি করে প্রত্যেকেই তাঁর সাহসিকতাকে স্যালুট করছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর