পাথর ভেবে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন আস্তাকুঁড়ে! কিন্তু ভাগ্যের ফেরে ২০ কোটি টাকার হিরে পেলেন বৃদ্ধা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাগ্য এমনই একটি জিনিস যা যে কাউকেই যে কোনো মুহূর্তে এক্কেবারে শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। যদিও সকলের আবার সেইরকম সৌভাগ্য হয়না। কিন্তু, যে গুটিকয়েক মানুষ এমন ভাগ্যবান হন তাঁরা নিজেরাও কার্যত অবাক হয়ে যান তাঁদের সাথে ঘটা ঘটনায়। ঠিক যেমন ঘটেছে আমেরিকায় বসবাসকারী এক বৃদ্ধার সঙ্গে।

এক কথায়, তাঁর সাথে যা ঘটেছে তা যে কাউকেই সম্পূর্ণ অবাক করে দিতে পারে। মূলত, ওই বৃদ্ধার কাছে একটি হিরের “মত” পাথর ছিল। যেটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানতেন না তিনি। এমতাবস্থায়, সেটি তিনি কার্যত আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপও করতে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়ে তাঁর এক প্রতিবেশী তাঁকে এটি নিয়ে গিয়ে কোনো দোকানে দেখাতে বলেন। আর তারপরেই চক্ষুস্থির হয়ে যায় তাঁদের। দোকানে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় যে, এতদিন তাঁর কাছে ছিল একটি ২০ কোটি টাকা দামের হিরে। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই বৃদ্ধা!

বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, শাহনাজ নামের ওই বৃদ্ধার বয়স হল ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি “কস্টিউম জুয়েলারি” মনে করে একটি পাথর কিনেছিলেন। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের পর নর্থম্বারল্যান্ডে বসবাসকারী ওই বৃদ্ধা সেই পাথরটিকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে, তিনি যখন এই সিদ্ধান্ত নেন তখন তাঁর এক প্রতিবেশী ওই পাথরটি সম্পর্কে তাঁকে বিস্তারিত জানতে বলেন। বারংবার বলার পর তিনি শেষে একটি দোকানে গিয়ে এই পাথরটির আসল সত্য জানতে পারেন। আর এটির প্রকৃত দাম জানার পর কার্যত আকাশ থেকে পড়েন তিনি।

Image 10340502 126 0

এই প্রসঙ্গে বিবিসির সাথে কথা বলার সময়, নর্থ শিল্ডসে অবস্থিত “Featonby’s Auctioneers” জানিয়েছে যে, “ওই বৃদ্ধা এখানে এসেছিলেন। তাঁর কাছে পাথর নয় বরং একটি হিরে ছিল।” এদিকে, ওই হিরের দাম হল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মুহূর্তেই কার্যত ভাগ্য ফিরে যায় ওই বৃদ্ধার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর