হাওড়া-শিয়ালদা নয়, ১৬৫ বছর আগে স্থাপিত এটিই হল দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে পুরনো জংশন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ব বর্ধমানের খানা জংশন (Khana Junction) দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ জংশন হওয়ার পাশাপাশি সেখানকার মানুষদের কাছে খানা স্টেশনটি অত্যন্ত গর্বেরও বটে। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন থামে এই জংশনে। হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস স্টপেজ দেয় খানাতে।

কিন্তু এই স্টেশনের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নয়। পূর্ব রেল বর্তমানে এই স্টেশনটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এই জংশনের স্টেশন কোড KAN। তবে সব থেকে অবাক করে দেওয়া কথা হল দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে পুরনো জংশন স্টেশন হল এই খানা। ১৮৫৯ সালে এই স্টেশনটি পায় জংশনের তকমা।

টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি দামোদর নদীর নারায়ণকুড়ি ঘাট থেকে কলকাতায় কয়লা পরিবহন করত উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়। কিন্তু দামোদর নদীর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রবাহ এই পরিবহনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা এবং হুগলির মধ্যে বিছানো রেলপথ প্রসারিত করে রানীগঞ্জ পর্যন্ত ।

img 20230726 123256

১৮৫৯ সালে হাওড়া-দিল্লিকে মেন লাইন হিসাবে বিবেচিত করা হয়। সেই সময় খানা স্টেশন জংশনের তকমা পায়। খানা জংশন- রাজমহল লাইন নির্মাণ শুরু হয় সেই সময়। কলকাতা ও দিল্লি সরাসরি যুক্ত হয় ১৮৬৬ সালে। এই স্টেশনটি অবশ্য হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনের আগে তৈরী হলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে পিছিয়ে আছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর