বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মা আসছেন, ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। কাশফুলের সঙ্গে শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা পাল্লা দিয়ে বয়ে চলেছে। বহু ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে এবারের বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজোতে সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। করোনা মহামারির মধ্যেও নানা বিধি নিষেধ মেনে পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে গোটা কলকাতা।
চারিদিকে চলছে প্রস্তুতি। অন্যান্যবারের থেকে এবছরে অনেক পার্থক্য থাকলেও, সমস্ত রকম বিধি নিষেধ মেনেই প্যান্ডেল বাধা থেকে ঠাকুর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে লকডাউনের ফলে বিরাট সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Wokers) কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছিল, বাংলায় কাজের অভাবে তারা আবারও ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। কিন্তু এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের যোগান করল কলকাতার নাকাতলা উদয়ন সংঘ।
কলকাতার নাকাতলা উদয়ন সংঘের (Naktala Udayan Sanghaclub) এবারের পুজোর থিম লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন কাহিনী। এই অভিনব থিমের পরিকল্পনা করেছেন পুজোর খ্যাতিমান শিল্পী ভবতোষ সুতার। এই পুজো প্যান্ডেলে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতের কাজ এবং সেই সঙ্গে তাদের এই কষ্ঠের জীবন মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে অঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ‘মুর্শিদাবাদ, নাদিয়া এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা থেকে ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে আমরা এখানে ডেকেছি। এই শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে প্যান্ডেল নির্মানের কাজে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছে। পাশাপাশি এই লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা কতটা কষ্ট করে তাদের বাড়িতে ফিয়ে এসেছেন, তাও মডেলের আকারে মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে’।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী এই নাকতলা সংঘের সভাপতি। এবছর এখানে ১২ ফুটের বিশালাকার দূর্গা প্রতিমা তৈরি করা হবে, যা দূরের রাস্তা থেকেও দেখা যাবে। সেইসঙ্গে ভিড় ভাট্টা এড়াতে চারটি জায়েন্ট স্ক্রীনের মাধ্যমে পুজোর সমস্ত বিষয়টা তুলে ধরা হবে।