বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল মায়ানমার (Myanmar) থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে আকাশপথে সফর করার সময়েই বিমানের ভেতর বসে থাকা অবস্থায় আচমকাই গুলিবিদ্ধ হন এক যাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনাতে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। খবর অনুযায়ী, মাটি থেকে ছোঁড়া ওই গুলিটি প্রায় ৩,৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকা বিমানে বসে থাকা এক যাত্রীর গায়ে লাগে।
এমতাবস্থায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যাত্রীটিকে বিমানটি অবতরণের পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (Myanmar National Airlines) ওই বিমানটিতে মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। পাশাপাশি, বিমানটি পূর্বের রাজ্য কায়ার রাজধানী লোইকাভে অবতরণ করতে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে এই ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা ওই যাত্রীর বেশ কয়েকটি ছবি নেটমাধ্যমে সামনে এসেছে।
পাশাপাশি, গুলিটির জেরে বিমানের দেওয়ালে সৃষ্ট গর্তের ছবিটিও পরিলক্ষিত হয়েছে। ওই যাত্রীর ঘাড়ের কাছে গুলিটি লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের লোইকাভের অফিস সূত্রে বলা হয়েছে যে, আপাতত শহরের সমস্ত উড়ান অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে। মূলত, এই ঘটনায় মায়ানমারের সামরিক সরকার বিদ্রোহী বাহিনীকে বিমানে গুলি করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। যদিও বিদ্রোহী দলগুলি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মায়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন সরকারি গণমাধ্যমেকে জানিয়েছেন, “আমি বলতে চাই, যাত্রীবাহী বিমানে এই ধরণের হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়া রাজ্যে, গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং নিয়ন্ত্রণ করার পর থেকে সামরিক ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
এমতাবস্থায়, মায়ানমারের সামরিক সরকারের নেতা দেশটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, আগামী বছর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে।