পাল্টে গেল প্রসাদ বিতরনের ধরণ, মেশিনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে ইমিউনিটি বুস্টার চরণামৃত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূজা শেষে ভগবানের চরণামৃত পান করেই উপোষ ভঙ্গ করেন সকলে। পাটনার (Patna) মহাবীর মন্দির (Mahavir Mandir) করোনার সময়কালে এই চরণামৃত নিয়েই এক অভিনব উদ্যোগ নিল। সাধারণভাবে ভগবানের কাছে উতসর্গ করা প্রাসাদের অংশ হল এই চরণামৃত।

করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রকোপে পড়ে মন্দিরের দরজাও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভক্তকূল বাড়িতে থেকেই তাঁদের আরাধ্য দেবতার উপাসনা করতেন। কিন্তু বর্তমানে লকডাউন শিথিল হওয়ায় খোলা হয়েছে মন্দিরের দরজা। দলে দলে মন্দিরে ভিড় জমাতে শুরু করেছে ভক্তকূল। পূজার কাজ চলছে সামাজিক দূরত্ব মেনেই। কিন্তু চরণামৃত নেওয়া যাবে কিভাবে? কারণ স্পর্শ না করে কিভাবেই বা দেওয়া যাবে এই চরণামৃত?

aaaaaaaaaaaaaaaaaaa

মন্দিরে ইনস্টল হচ্ছে প্রসাদের মেশিন!
ভক্তকূলের কথা চিন্তা ভাবনা করে এবার এই চরণামৃত দানের বিষয়ে এক অভিনব পন্থা খুঁজে বের করল পাটনার মহাবীর মন্দির। হাত না দিয়েই পাওয়া যাবে ভগবানের চরণামৃত। ইনস্টল করা হল এমনই মেশিন, যা অনাক্রম্যতা বুস্টারেরও কাজ করবে। যার ফলে স্পর্শের ভয় না করে, হাত না লাগিয়েই পাওয়া যাবে চরণামৃত।

Mahavir Mandir Patna

কিভাবে মিলবে প্রসাদ?
এই অটো সেন্সর মেশিনগুলো এক একটি প্রায় ১০ কেজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। প্রসাদ নেওয়ার জন্য ডিসপোজেবল কাপটি মেশিনের সামনে নিয়ে গিয়ে পরিমাণ নির্ধারণ করলেই প্রসাদ বেরিয়ে আসবে। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভক্তদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে চরণামৃতের মধ্যে লবঙ্গ, এলাচ, তুলসী, জায়ফল, কর্পূর ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে তাঁদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর