বাংলাহান্ট ডেস্ক : পিজির ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত ধমকের সুরে রোগী হয়রানি কমানোর নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বদলায়নি চিত্র। দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি সারারাত পড়ে রইলেন ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে। সংবাদ মাধ্যমের তৎপরতায় ১২ ঘন্টা পর ভর্তি নেওয়া হল হাসপাতালে।
মমতাজুল মল্লিক হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা। হাওড়ারই চেঙ্গাইলের কাছে বৃহস্পতি বার তিনি টোটা দুর্ঘটনা গুরুতর হন। গুড়িয়ে যায় নাকের হাড়। প্রথমে মমতাজুলকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে এসএসকেএম-এ আনা হয় রাতেই।
আহত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসা হলে তাকে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এরপর এক চিকিৎসক এসে তাকে দেখেও যান। কিন্তু তবুও শুরু করা হয়নি তার চিকিৎসা। এসএসকেএম-র ট্রমা কেয়ারের সামনেই সারারাত পড়ে থাকেন তিনি। টোটা দুর্ঘটনায় মমতাজুলের গুড়িয়ে গিয়েছে নাক, কিন্তু গুরুতর আহত এই ব্যক্তির সিটি স্ক্যান হয় আজ ভোরে। রিপোর্ট আসে আরও চার ঘণ্টা পর।
এরপর আজ বেলা এগারোটা নাগাদ পরিবারের লোকেদের সিনিয়র চিকিৎসকরা জানান ভর্তি করতে হবে মমতাজুলকে। কিন্তু হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই। এই খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারের পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। মুমতাজুলকে শেষপর্যন্ত বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ভর্তি নেওয়া হয় পিজিতে।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন পিজি হাসপাতালে। সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কর্মপদ্ধতি দেখে তিনি উষ্ণপ্রকাশ করেন। তিনি সাফ জানান, “আগে রোগীর চিকিৎসা তারপরে প্রসেস।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল সরকারি হাসপাতাল আছে সেই তিমিরেই।