চিড়িয়াখানার ক্যামেরায় ধরা পড়ল রহস্যময় প্রাণীর ছবি! ছুঁচলো কান আর পা দেখে আতঙ্কে সবাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিড়িয়াখানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক রহস্যময় প্রাণী! এমনকি, সেই চিত্র ধরাও পড়ল ক্যামেরায়। আর তারপর থেকেই ওই প্রাণীটিকে শনাক্ত করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এমনকি, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়েছে যে, উপায় না পেয়ে টুইটের মাধ্যমে সাহায্য চেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার টেক্সাসের এক চিড়িয়াখানায়।

মূলত, প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা গিয়েছে যে, কোনো একটি অজানা প্রাণী অন্ধকারে নিজের দুই পায়ে ভর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে। এদিকে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছেও এই প্রাণী সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। এমনকি, বড় বড় জীববিজ্ঞানীরাও এই রহস্যময় ছবিটি শনাক্ত করতে পারছেন না। এমতাবস্থায়, ছবিটি টুইট করে এই প্রাণীটিকে শনাক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে, এখনও এই সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

ছবিটি গত ২১ মে মোশন ক্যামেরায় ধরা পড়ে:
এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, টেক্সাসের অ্যামারিলো শহরে অবস্থিত অ্যামারিলো চিড়িয়াখানার সীমানার বাইরে অন্ধকারে এক অদ্ভুত প্রাণীকে দেখা যায়। ছবিটি গত ২১ মে রাত ১.২৫ মিনিট নাগাদ মোশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এমতাবস্থায়, পরের দিন সকালে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা যখন এটি দেখেন, তখন তাঁদের রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়।

সিটি অফ অ্যামারিলো টুইট করে সাহায্য চেয়েছে:
এদিকে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্য সিটি অফ অ্যামারিলোর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, গত ২১ মে চিড়িয়াখানার বাইরে অন্ধকারে একটি অদ্ভুত ছবি দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, সেটি আদৌ কোনো “Chupacabra” কিনা সেই সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়। এছাড়াও, কেউ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানলে তাঁর কাছ থেকে সাহায্যের আবেদনও করা হয় ওই টুইটের মাধ্যমে।

কি এই Chupacabra?
মূলত, লাতিন আমেরিকার জনপ্রিয় গল্পগুলিতে, Chupacabra-কে একটি দানবীয় প্রাণী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মনে করা হয় যে, এই ভয়ানক প্রাণীটি রাতের অন্ধকারে প্রাণীদের আক্রমণ করে এবং তাদের রক্ত ​​পান করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই নামটি স্প্যানিশ শব্দ চুপার (চোষা) এবং ক্যাবরা (ছাগল) থেকে এসেছে। সেক্ষেত্রে এটিকে “ছাগলের রক্ত ​​চোষা” প্রাণী হিসেবেও অভিহিত করা যেতে পারে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর