লকডাউন ভেঙে চলছিল মসজিদে নামাজ পাঠ, আটকাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পুলিশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ওরঙ্গবাদ জেলার বিদকিন গ্রামে কয়েকজনের নামাজ পড়ার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে আহত হন এক পুলিশের অধিকর্তা। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

police 222 2

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে জারী হওয়া লকডাউনের মধ্যে মানুষজনকে ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছ। এই সময় বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত রকম জমায়েত। সরকারী তরফ থেকে সমস্ত রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে রমজান মাস উপলক্ষে মহারাষ্ট্রের ওরঙ্গবাদ জেলার বিদকিন গ্রামে কয়েকজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মসজিদে যায় নামাজ পড়তে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোক্ষদা পাতিল জানান, ‘সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় তাঁদের কাছে খবর আসে ওরঙ্গবাদ জেলার বিদকিন গ্রামে ৩৫-৪০ জন ব্যক্তি নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদে জড়ো হয়েছে। খবর আসা মাত্রই পুলিশের একটি দল ওই স্থানে পৌঁছায়। পুলিশের গাড়ি দেখেই তারা পুলিশদের লক্ষ করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। যার ফলে জখম হয়েছেন একজন পুলিশ কর্মী। হামলাকারীদের মধ্যে থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।

corona virus getty

 

করোনা ভাইরাসের প্রভাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্র সংক্রমণের শীর্ষে অবস্থান করছে। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের, যার মধ্যে ১৫ জন মুম্বাইবাসী। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ -এ এসে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র মুম্বাইতে ৫৭৭৬ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২১৯ জন। মহারাষ্ট্রে এখনও অবধি প্রায় ১.২১ লক্ষ মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে এবং প্রায় ১.৪৫ লক্ষ মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। সোমবার, মুম্বাই পুলিশের একজন ৫৭ বছর বয়সী হেড কনস্টেবল মারা যান।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর