ফলের দোকান থেকে চুরি করছেন খোদ পুলিশকর্মী! ভাইরাল ভিডিও দেখে স্তম্ভিত সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণত আমরা কোনো চুরির সম্মুখীন হলে সাহায্য পেতে সবার আগে যাঁদের কাছে ছুটে যাই তাঁরা হলেন পুলিশকর্মী (Police)। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের খুঁজে চুরি যাওয়া জিনিস ফেরত পেতে সাহায্য করেন তাঁরা। কিন্তু, এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের। কারণ, এবার চুরির দায়ে ধরা পড়েছেন খোদ পুলিশকর্মীই! হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এই কান্ডই ঘটেছে।

এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যেখানে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়। সেখানে এক পুলিশকর্মী একটি ফল দোকান থেকে ১০ কেজি আমি চুরি করে নেন। এমতাবস্থায়, বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের ইউনিফর্ম পরেই করেন চুরি: কেরালার একটি ফল দোকান থেকে এই চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। সেখান থেকে আমের একটি পেটি চুরি করা হয়। এদিকে, পুরো ঘটনাটি দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ফুটেজ সামনে আসার পরেই হুঁশ উড়ে যায় সকলের। কারণ, সেখানে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থাতেই এক পুলিশকর্মী দোকান থেকে আম চুরি করে নেন। এমতাবস্থায়, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই পুলিশকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি, ওই পুলিশকর্মীর নাম হল পিভি শিহাব।

ঘটনাটি ঘটে গত অগাস্ট মাসে: খবর অনুযায়ী, পুলিশকর্মীটি যে আমগুলি চুরি করেছিলেন সেগুলির দাম ছিল প্ৰতি কেজিতে ৫০০ টাকা। তাই, এই খবর জানাজানি হয়ে যেতে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত চালায় এবং ইদুক্কির পুলিশ সুপার অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি গত অগাস্ট মাসে ঘটে। মূলত, কাঞ্জিরাপল্লী-মুন্ডকায়ামের রাস্তায় একটা ফলের দোকানের সামনে স্কুটি করে যাওয়ার সময় দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে যান শিহাব। তখন ওই দোকানে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই তিনি আম ভর্তি একটি পেটি স্কুটিতে তুলে নিয়ে চলে যান।

এমতাবস্থায়, দোকানদার সেখানে ফিরে এলে তিনি চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করেন। আর তখনই খোদ পুলিশকে চুরি করতে দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইদুক্কি আর্মড রিজার্ভ ক্যাম্প পুলিশ ইউনিটের সদস্য শিহাব পালিয়ে যান। তবে, তাঁর নামে স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর