Bangla Hunt Desk: চীনে (China) কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের (Xi jinping) বিরুদ্ধে চীনবাসী ক্রমাগত গণতন্ত্র, নাগরিক স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং সংবিধান বিষয়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে। চীনের সেন্ট্রাল পার্টি স্কুলের সিনিয়র অধ্যাপক এবং পলিটব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য কই জিয়া (Cai Xia) চীন সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
কই জিয়ার বিবৃতি
চীনের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল পার্টি স্কুলে কমিউনিস্ট পার্টির অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় এই স্কুলেরই এক অধ্যাপক কই জিয়ার এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়। যেখানে তিনি চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে “মাফিয়া বস” এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে “রাজনৈতিক জম্বি” হিসাবে অভিহিত করায় সরকার ও দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এই ঘটনার পর তাঁর এবং তাঁর পরিবারের হুমকি আসতে থাকে, বিবৃতি না ছাপাবার জন্য। তিনি বিবৃতি না ছাপানোর অনুরোধ করলে, তাঁর অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায় এবং তাঁকে চীন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
জিনপিং বিরোধী মনোভাব
বর্তমান দিনে চীনে রাষ্ট্রপতি জিনপিং-এর শাসন নিয়ে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সিংহভাগ মানুষ জিনপিংকে আর রাষ্ট্রপতি পদে স্বীকার করতে চাইছে না। বিশেষত চীনের দ্বারা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণের মধ্যে সরকার বিরোধী মনোভাব দেখা দিচ্ছে।
করোনার বিষয়ে জিয়ার বক্তব্য
জিয়া পূর্বে বলেছিলেন সরকারের এই অবস্থার জন্য দায়ী ‘শুধুমাত্র জিনপিং-এর কাজে না দেওয়া ক্ষমতা’। এদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কারো কাছে দায়বদ্ধ নয়, তাঁদের যা ইচ্ছা তাই করে। জনগণ তাঁদের ভয় পায়। তবে রাষ্ট্রপতি জিনপিং যদি ৭ ই জানুয়ারীই করোনার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তাহলে এই বিষয়ে ২০ শে জানুয়ারী প্রকাশ্যে আনলেন কেন?’
জিনপিং এবং তাঁর দলের কার্যকারিতা সম্পর্কে জিয়া জানিয়েছেন, “সিসিপি অপরিসীম শক্তির কারণে যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিতে পারে। কোনও ব্যক্তি দলের মতামতের চেয়ে আলাদা মতামত দিতে চাইলে, তাঁকে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জমা দিতে হয়। সেই কারণে জিনপিং সত্য গোপন করে, যা সিদ্ধান্ত নেয়, তা সমস্তটাই ভুল’।