বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটলো। রটনাগুলি যে মিথ্যে ছিল না তারই প্রমাণ পাওয়া গেল সম্প্রতি পাওয়া একটি খবরে। সূত্রের খবর, রাশিয়ার কাছ থেকে প্রায় তিরিশ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করতে চলেছে ভারত। উক্ত সম্ভাবনার কথা বহুদিন আগে থেকেই সকলের মুখে মুখে ঘুরছিল। তবে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি ভারত কিংবা রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া খবরের পর এ বিষয়ে আর কোনো সংশয় রইলো না।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় এক মাস হতে চলল। ইউক্রেন দেশটির ওপর রাশিয়ার বিধ্বংসী আক্রমণের ফলে সে দেশের নাগরিকদের হাল অত্যন্ত সংকটজনক। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিক থেকে বিপর্যস্ত এই দেশ, তবুও রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে নারাজ।এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় বহুদেশ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আমেরিকার মত দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি এবং অন্যান্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে বর্তমানে রাশিয়ার হাল অত্যন্ত খারাপ। এই অবস্থায় ভারত রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করার ফলে রাশিয়ার এই সংকটের যে কিছুটা উন্নতি হবে, তা বলা যায়।
যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভারত পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করে আসে। ফলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় বলে সূত্রের খবর। এই অবস্থায় আমেরিকা-সহ ইউরোপীয় দেশ গুলি এই সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখেনি। তারা একাধিকবার দিল্লিকে সতর্ক করে রাশিয়ার থেকে তেল কিংবা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসের আমদানি না করতে। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছে তাদের কাছে সর্বপ্রথম দেশের স্বার্থ এবং দেশে তেলের চাহিদা পূরণ করার জন্য তারা যদি সস্তায় কোন দেশ থেকে তা আমদানি করার সুযোগ পায় তাহলে কখনই তারা সেই সুযোগকে ছেড়ে দেবে না।
ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, ইউরোপের বহু দেশ যেমন জার্মানি, ফ্রান্স দেশগুলিও রাশিয়ার সাথে তাদের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। সে ক্ষেত্রে ভারত তাদের প্রয়োজনীয় তেলের মাত্র এক শতাংশ আমদানি করে পুতিনের দেশ থেকে এবং এছাড়া বাকি বেশিরভাগ তেলের যোগান আসে সৌদি আরব, ইরাক এই সমস্ত দেশ থেকে এমনকি আমেরিকা থেকে প্রায় 8 শতাংশ আমদানি ঘটে। সে ক্ষেত্রে দিল্লি কড়া ভাষায় জানিয়েছে, তারা দেশের স্বার্থ সবার আগে রেখে চলবে এবং পশ্চিমী দেশগুলির হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল পেলে তারা সেখানে কোনোভাবেই ঝুঁকবে না।