বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাজারে গিয়ে আমরা সাধারণত যে সমস্ত সবজিগুলি প্রায়শই কিনি সেগুলির মধ্যে ঢেঁড়শ হল অন্যতম। সবুজ, তরতাজা এই সবজি খেতে পছন্দ করেন প্রায় প্রত্যেকেই। পাশাপাশি, প্রতি কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দামেই পাওয়া যায় এটি। কিন্তু, আজ আমরা আপনাকে এমন একটি ঢেঁড়শ সম্পর্কে জানাতে চলেছি যেটির দাম শুনলে কার্যত ভিরমি খাবেন সকলেই। পাশাপাশি, এই ঢেঁড়শের রংটিও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আজ আমরা মূলত, লাল রঙের ঢেঁড়শের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যেটির ১ কেজি কিনতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৮০০ টাকা। পাশাপাশি, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এই ঢেঁড়শের। জানা গিয়েছে, ভোপালের হুজুর তহসিলের খেজুরি কালানের কৃষক মিশ্রীলাল রাজপুত এই ঢেঁড়শের চাষ বিপুলভাবে করছেন। পাশাপাশি, বাজারে এটির দাম প্রতি কেজিতে ৮০০ টাকা। তবে, এই ঢেঁড়শটির কিছু বিশেষত্বও রয়েছে। যেই কারণে আকাশছোঁয়া দাম সত্বেও চাহিদা বাড়ছে এটির।
লাল রঙের ঢেঁড়শ রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী:
সাধারণত আমরা বাজার থেকে যে ঢেঁড়শ কিনে থাকি সেগুলির রং হয় সবুজ। কিন্তু এই ঢেঁড়শটির রং হল লাল। পাশাপাশি, এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকরও বটে। যাঁরা মূলত হৃদরোগ বা রক্তচাপে ভুগছেন তাঁদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এছাড়াও যাঁদের সুগার বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাঁদের জন্যও এই ঢেঁড়শ অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি বিশেষ উপাদান, যা গর্ভবতী মহিলাদের পাশাপাশি, উজ্জ্বল ত্বক পেতে এবং শিশুদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কেন এই ঢেঁড়শটি অত্যন্ত দামি?
এই প্রসঙ্গে রাজপুত জানিয়েছেন যে, তিনি বারাণসীর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে এক কেজি বীজ কিনেছিলেন, যা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করা হয়েছিল। বপনের ৪০ দিন পর, ঢেঁড়শ ফলতে শুরু করে। পাশাপাশি, এই চাষে কোনো ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও, জানা গিয়েছে, এই ঢেঁড়শের ফলন এক একরে প্রায় ৪০-৫০ কুইন্টাল এবং সর্বোচ্চ ৭০-৮০ কুইন্টাল পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি, লাল রঙের ঢেঁড়শ সাধারণ ঢেঁড়শের তুলনায় প্রায় সাত-আটগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। কিছু কিছু মলে এই ঢেঁড়শের ৫০০ গ্রাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে।