হঠাৎ কেন এই মহিলাকে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! রইল তাঁর আসল পরিচয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। মূলত, প্রধানমন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এই ছবিগুলি শেয়ার করেন। যেখানে তাঁকে একজন বয়স্ক মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মাথা নত করে ওই মহিলাকে প্রণামও জানান। এমতাবস্থায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি সামনে আসতেই ওই মহিলার পরিচয় জানতে উদগ্রীব হয়েছেন সকলে। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

জানিয়ে রাখি যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছবিতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম হল উমা সচদেব। পাশাপাশি, তাঁর বয়স হল ৯০ বছর। এমতাবস্থায়, ছবিগুলি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী এই বয়স্ক মহিলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য যে, উমার স্বামী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এইচ কে সচদেব ছিলেন একজন সম্মানিত সেনা কর্মকর্তা। পাশাপাশি, উমা সম্পর্কে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বেদ প্রকাশ মালিকের কাকিমা হন।

সাক্ষাৎকে স্মরণীয় করে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: উমা সচদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিকে স্মরণীয় করে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, বয়সের এই পর্যায়েও উমা উৎসাহ এবং ইতিবাচক আশায় পরিপূর্ণ রয়েছেন। এছাড়াও, ওই সাক্ষাতে উমা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তিনটি বই উপহার দেন। সেগুলি তাঁর প্রয়াত স্বামী এইচ কে সচদেবের লেখা। এর মধ্যে দু’টি বই গীতার সাথে সম্পর্কিত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, একটি বইয়ের নাম হল “ব্লাড অ্যান্ড টিয়ার্স”। যেটিতে এইচ কে সচদেব দেশভাগের সময়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করেছিলেন।

বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়: এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সময়ে তিনি উমা সচদেবের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে কথা বলেছেন। ১৪ আগস্ট দেশভাগের স্মৃতি দিবস হিসেবে পালনের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা হয়। দেশভাগের সময় সর্বস্ব হারিয়ে যাঁরা দেশের অগ্রগতিতে অবদান রেখেছিলেন তাঁদের স্মরণে দিনটি পালিত হয়। পাশাপাশি, উমাকে ধৈর্যের প্রতীক হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, উমা সচদেব প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বেদ প্রকাশ মালিকের কাকিমা। মালিক ছিলেন ১৯ তম সেনাপ্রধান। তাঁর মেয়াদ ছিল ১৯৯৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। কার্গিল যুদ্ধের সময় তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। পাশাপাশি, তিনিও কার্গিল যুদ্ধের উপর একটি বই লিখেছেন। যেটির নাম ছিল, “কারগিল: ফ্রম সারপ্রাইজ টু ভিক্টরি”। এছাড়াও, মালিক “India’s Military Conflicts and Diplomacy: Inside View of Decision Making” নামেও একটি বই লিখেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর